Abdur Razzak Molla: `আমার কব্জায় থাকবে সব, এটার জন্য আস্তে আস্তে রাশ হালকা হয়ে যাচ্ছে`!
`এতগুলি খুন হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গের পক্ষের দুঃখজনক ঘটনা`, বললেন আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলেরই জয়জয়কার। 'দীর্ঘদিন ধরে এই দাপট, আমার কব্জায় থাকবে সব, এটার জন্য আস্তে আস্তে রাশ হালকা হয়ে যাচ্ছে', জি ২৪ ঘণ্টায় 'আপনার রায়' অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক বিস্ফোরক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, মৃত্যু! স্রেফ ৬০০ বুথে পুননির্বাচন নয়, ভোট-গণনা ও জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যৎ এখন নির্বাচন করছে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে মামলাটি দায়ের করেছেন, এদিন সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'কমিশন যে ভূমিকা পালন করেছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বা এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। আদালতকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য কোনও আধিকারিক নেই'। ৬ হাজার বুথে অশান্তি কথা বলা হলেও মাত্র ৬০০ বুথে কেন পুনর্নির্বাচন? কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।
এদিকে মনোনয়ন থেকে ভোটগণনা। পঞ্চায়েত ভোট পর্বে বারবার হিংসার শিকার ভাঙড়। গতকাল, মঙ্গলবার রাতে পুলিস-ISF সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় এলাকা। বোমা পড়ে মুড়ি-মুড়কির মতো! গুলিবিদ্ধ হন খোদ অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাখসুদ হাসান।
একসময়ে ভাঙড়ের দাপুটে বাম নেতা ছিল আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। নিজেকে 'চাষার ব্যাটা' পরিচয় দিতেন তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূলের যোগ দেন রেজ্জাক।
জি ২৪ ঘণ্টাকে সেই আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা বললেন, 'এই যারা করছে এখন, তারা হয়তো ভাবছে ঠিক কাজ করছি। কিন্তু আখেরে ফল ভালো হবে না। সরকারে যারা আছে, দায়িত্ব তো তাদের। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই দাপট, আমার কব্জায় থাকবে সব, এটার জন্য আস্তে আস্তে রাশ হালকা হয়ে যাচ্ছে'।
আরও পড়ুন: WB Weather Update: ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তরবঙ্গ; দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টি কবে, জানাল হাওয়া অফিস
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভারও সদস্য ছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। এখন অবশ্য রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। তিনি বলেন, 'এই নিয়ে তৃণমূলের নেতারাও মুখ খুলছেন। আমি তো নেতা নই, সমর্থকমাত্র। এই পার্টিতে নেতৃত্ব বলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরা দু'জনে ভোটের আগে যা বসেছিলেন, তার সঙ্গে ভোটের পরের সঙ্গে কোনও মিল নেই। এমনও কথা বলেছিলেন, যে কেউ যদি নমিশন দিতে পারেন, আমার কাছে আসবেন। নমিনেশন করিয়ে দেব। সে জায়গা থেকে তো এতগুলি খুন হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গের পক্ষের দুঃখজনক ঘটনা'।