নারায়ণ সিংহ রায়: গতকাল ফল প্রকাশের পরই খুশির হাওয়া গোটা পরিবারে। ইউপিএসসিতে ৫০ র‍্যাঙ্ক করলেন শিলিগুড়ির অভিজিৎ রায়। তার থেকেও বড় গর্বের বিষয় বাঙালি হিসেবে। দফায় দফায় চলছে মিষ্টিমুখ। ফোনে দূর দূরান্তের আত্মীয় পরিজননের শুভেচ্ছা বার্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমন ফলাফলে কী বলছেন খোদ অভিজিত্? অভিজিৎয়ের বক্তব্য, তার বাবা মা এমন ফল আশা করলেও আমি এতটা আশা করিনি। চতুর্থবার পরীক্ষা দিয়ে ইউপিএসপি পাশ। আশা ছাড়িনি। চাকরি করতে করতে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। কখনও সময় নষ্ট করিনি। কতক্ষণ পড়ব এই লক্ষে না এগিয়ে একটা বিষয় শেষ করতে আমরা যতটা সময় লাগবে লাগুক এই লক্ষ্যে এগিয়েছি। তবে লক্ষ্য করেছি বাংলা থেকে খুব কম পরীক্ষার্থী থাকে এই পরীক্ষায়। অবশ্যই অর্থ একটা বড় বিষয়। তবে ইচ্ছের অভাবও রয়েছে। পাশাপাশি সঠিক পরামর্শের অভাব রয়েছে ঢের।


পরিবারের সঙ্গে দার্জিলিংয়ে বেড়ে উঠা অভিজিৎ-এর। বাবা ডক্টর মুকুল চরণ রায় দার্জিলিং জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন। মা ডক্টর চন্দ্রা রায় হোমিওপ্যাথি মেডিকেল অফিসার। চাকরি সুত্রে বাবা মুকুল চরণের দার্জিলিংয়ে পোস্টিং থাকায় সেখানেই বেড়ে উঠেছে তিনি। দার্জিলিং সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের পর সেখান থেকে সোজা দিল্লি। দিল্লির কালকা পাবলিক স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক শেষে দিল্লির টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স নিয়ে ২০১৬ সালে পাশ করেন। সেখান থেকে চাকরি সুত্রে ব্যাঙ্গালোর পাড়ি দেন অভিজিৎ। চলছে চাকরি। 


জীবনে মোড় ঘুরল অফিসের বসের কর্মকান্ডে। বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে সামাজিক নানারকম কাজ করতেন অভিজিত্। অভিজিৎয়ের কথায় ,  তখন আমার মাথায় এল যদি এদের ভালো করে রাখতেই হয় বা এদের নিয়ে কাজ করতে হয় তাহলে পদে থেকে কাজ করা অনেক সুবিধে। সেখান থেকেই ইউপিএসসি তে বসার তোড়জোড় শুরু। তবে যাত্রা পথ সহজ অবশ্যই নয়। প্রথমবারে উত্তীর্ণ হবে এমন কোন আশাও করিনি। চারবার পরীক্ষা দেওয়ার পর পাশ করেছি ভালো র‍্যাঙ্ক নিয়ে।  


অভিজিত্ বলেন, আগামীতে যে আধিকারিকই হইনা কেন, একটা জিনিস লক্ষ করেছি নিজে পড়াশোনা করতে গিয়ে। বই বা সঠিক পথ নির্দেশকের বড় অভাব। আমি নিজে কোন কোচিং সেন্টার থেকে পড়াশোনা করিনি। নিজে থেকেই পড়েছি। ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছি বিভিন্ন রকমভাবে। তবে বাংলা থেকে খুব কম সংখ্যক ছেলে মেয়েরা ইউপিএসপিতে বসে। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি সেটা খুঁজে বের করে তার সমাধান করা কাজ থাকবে আগামীতে। আমি যা অর্জন করেছি তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে হোক বা অন্য কোন উপায়ে হোক তা গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে দেব। 


অন্যদিকে অভিজিৎয়ের বাবা ডক্টর মুকুল চরণ রায় জানান, "ছেলে র‍্যাঙ্ক করবে তা আশাবাদী ছিলাম। আমরা আপ্লুত। ইউপিএসসি বলে কথা। এক কথায় স্বপ্নপুরণ। আগামীতে ভালো কাজ করবে মানুষের হয়ে এটাই আশা রাখব।"


অভিজিৎয়ের মা ডক্টর চন্দ্রা রায় জানান , "অনেক খেটেছে ও, ব্যাঙ্গালোর থেকে ছুটির সময় বাড়ি ফেরেনি। বিগত চার বছর ধরে অস্বাভাবিকভাবে খেটেছে। আমরা খুশি। একদিকে চাকরি করছে অন্যদিকে পড়াশোনা।"


আরও পড়ুন-গত আর্থিক বছরে চাঁদা হিসেবে BJP পেয়েছে কত টাকা, জানাল নির্বাচন কমিশন 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)