Jhargram: অন্যের `হাতে রাখি পরিয়ে` নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা স্বাগতার...
Jhargram: জাংক জুয়েলারির মাধ্যমেই রাখির বাজারে হাতেখড়ি স্বাগতার। অন্যের `হাতে রাখি পরিয়ে` নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। স্বাগতা ভট্টাচার্য। বিনপুরের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাখিকে হাতে পরিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন পড়ুয়া স্বাগতা। হাতে গোনা কয়েকটি দিন, তার পরেই রাখি পূর্ণিমা। আর এই অবসরে ঝাড়গ্রামের স্বাগতা নেমে পড়েছেন রাখির বাজারে।
আরও পড়ুন: Malbazar: গভীর রাতে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মেরে এক গ্রামবাসীকে হত্যা করল বুনো হাতি...
অল্পদিনেই রাখির বাজারও বেশ নজরকাড়া হয়ে উঠেছে স্বাগতা ভট্টাচার্যের। বিনপুর থানার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এমএ পাশ করে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে শুধু বাড়িতে বসে-বসে পড়াশোনা করে সময়টা অতিবাহিত করার ইচ্ছে ছিল না তাঁর। পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করতেও চেয়েছিলেন। করেছেনও। জাংক জুয়েলারিকে পেশায় পরিণত করেছেন তিনি। তবে এবার সেই জাংক জুয়েলারির ডিজাইনের সূত্রেই রাখিতে পা তাঁর।
চট,কাগজ, পিসবোর্ড, কাপড়, মেটাল-সহ নানা ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করে চোখধাঁধানো বিভিন্ন ডিজাইনের রাখি তৈরি করছেন স্বাগতা। সেসব বিক্রিও হচ্ছে দারুণ। যে পরিমাণ চাহিদা তা পূরণ করতে আর একা পেরে উঠছেন না তিনি। পড়াশোনার ফাঁকে এতদিন নিজের মতো করে জাংক জুয়েলারি তৈরি করতেন তিনি, বিক্রিও করতেন। তাতে তাঁর পড়াশোনা-সহ নিজের হাতখরচের টাকাটা উঠে আসত। অনেকটাই সুবিধা হত। আর এর সঙ্গে এবারের নতুন সংযোজন এই রাখি তৈরি করা। রাখির হাত ধরেই স্বাগতার জুয়েলরি ব্যবসারও প্রচার ও প্রসার বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Bardhaman: ফুটওভার ব্রিজ থেকে শিশুকে চলন্ত মালগাড়িতে ছুড়ে ফেলে হত্যা করা হল?
কেন তিনি পড়ার পাশাপাশি সহসা রাখিতে হাত দিলেন? তাঁর যুক্তি, রাজ্য সরকার মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য একাধিক প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে বলে তিনি শুনেছেন। নিজের হাতে তৈরি করা জিনিস বাজারজাত করার একাধিক সুযোগও করে দিয়েছে। আর এতেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন স্বাগতা। তাই তাঁর এই জাংক জুয়েলারির ব্যবসা। আর তাই তাঁর এবারের এই রাখি-পর্ব।