নিজস্ব প্রতিবেদন:  সোমবারের পর মঙ্গলবার। ফের উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। ইস্যু সেই একটাই-পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন। সকাল থেকেই এলোপাথাড়ি গুলি, বোমার শব্দে ত্র্যস্ত এলাকা। এখনও পর্যন্ত চার জন কংগ্রেস কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মিলছে। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের লক্ষ্মীপুর এলাকা। দুপক্ষের বোমা-গুলির লড়াইতে আহত হন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার তাই সকাল থেকে থমথমে ছিল চোপড়া। এদিন চোপড়ার দাসপাড়ায় বোর্ড গঠন ছিল। অশান্তির আশঙ্কায় সকাল থেকেই বন্ধ ছিল দোকানপাট, শুনশান ছিল রাস্তা। এলাকায় পুলিস মোতায়নও ছিল।


আরও পড়ুন: জয়পুরে অশান্তির জের, পুরুলিয়ায় ৩৩ টি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে স্থগিতাদেশ


 ২৩ জন সদস্য প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী। তাঁরা এদিন বোর্ড গঠন করতে গেলে বাধা দেন জোট ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা। তা নিয়ে বচসা বাধে দুপক্ষের। শুরু হয় সংঘর্ষ। প্রসঙ্গত, এলাকায় পুলিস মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও সকাল থেকে জমায়েত করছিল জোট ও কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।


আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় বোর্ড গঠনে চলল গুলি, নিহত ২


পুলিসের সামনেই কার্যত শুরু হয় গুলির লড়াই। চার কংগ্রেস প্রার্থীর শরীর ফুঁড়ে যায় গুলি। তার মধ্যে ২ কংগ্রেস কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিস তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, সোমবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে অশান্তি এড়াতে কেন আগাম কোনও ব্যবস্থা নিল না পুলিস প্রশাসন। সকাল থেকে এত পুলিস মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে জমায়েত হল? এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে সোমবার রাতে বোমার আঘাতে আহত হন দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।