`পৌষ মেলার মাঠে চলে পতিতাবৃত্তি`, অগ্নিমিত্রার মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়
পাল্টা তোপ, `বাইরে থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি এসে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরে নাক গলিয়ে রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্যকে কুলষিত করছেন।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বভারতীর পৌষমেলা প্রাঙ্গণে প্রাচীর বিতর্ক নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম , ঠিক সেই সময় আগুনের ঘি ঢেলে বির্তক উসকে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর প্রাক্তণী থেকে আশ্রমিক সবার অভিযোগ বিশ্বভারতীর ইতিহাসে যা কোনদিন হয়নি তা করে দেখালেন স্বয়ং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী। শুক্রবার বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বয়ং উপাচার্য। প্রশ্ন উঠছে উপাচার্য রাজনৈতিক দলের একক প্রতিনিধির সঙ্গে এভাবে বৈঠক করতে পারে কি ? শুধু বৈঠক নয়, তারপর পৌষমেলার মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠ পরিদর্শনের পর মহিলা মোর্চা সভাপতির বক্তব্য , “ এই মাঠে পতিতাবৃত্তি সহ নান রকম অসামাজিক কাজকর্ম চলে। তাই এই মেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়া প্রয়োজন।“
অগ্নিমিত্রা পালের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বভারতীর প্রাক্তণী এবং আশ্রমিকরা জানান,” পৌষমেলার মাঠে পতিতাবৃত্তি বা অসামাজিক কাজকর্ম হয় এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বাইরে থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি এসে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরে নাক গলিয়ে রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্যকে কুলষিত করছেন। মেলার মাঠের ৫০ মিটারের মধ্যে থানা, পাশে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস। সেই জায়গায় এই ধরনের কাজকর্ম চলতে পারে না। আর আমরা এখানকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। আমরা কোনওদিন কিছু দেখিনি।“
বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে উপাচর্যের বৈঠকে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিরোধীরা পাল্টা দাবি করেছেন, যদি মেলার মাঠে অসামাজিক কাজকর্ম হয়, তাহলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এতদিন কেন স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়নি? সব মিলিয়ে উপাচার্যের ভূমিকাতেও সবমহলেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন, করোনায় অর্থ বরাদ্দে মোদীর বিশেষ নজরে ৭ রাজ্য, বাদ বাংলা