নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়া, জগদ্দল। সংঘর্ষের জেরে মাথা ফেটে গিয়েছে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে বিজেপি সাংসদের। কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে এলাকায়। শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিস। সবমিলিয়ে ধুন্ধুমার এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। জখম অর্জুন সিংকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথায় ৭টি সেলাই পড়েছে। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে আক্রান্ত হন ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা সাংসদ পুত্র পবন সিংও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শ্যামনগর। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধে শ্যামনগরের ফিডার রোডে। জানা গিয়েছে, আজ সকালে শ্যামনগর এলাকায় অবস্থিত বিজেপির ৩টি পার্টি অফিস দখল করে নেয় তৃণমূল। আর সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। উত্তেজনার পারদ চড়ে এলাকায়।


প্রসঙ্গত, ওই ৩টি পার্টি অফিসই আগে তৃণমূলের ছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর দলবদলের হিড়িকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা গিয়ে বিজেপিতে নাম লেখায়। কর্মীদের পতাকার রং বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় পার্টি অফিসের রংও। পার্টি অফিসের দখল নেয় বিজেপি। আজ ফের সেই পার্টি অফিসগুলি পুনর্দখল করে তৃণমূল। বিজেপির পতাকা খুলে তৃণমূল কংগ্রেসের ফেস্টুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। এই ঘটনায় এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।


আরও পড়ুন, মেট্রোর সুড়ঙ্গের কাজের জেরে পরপর ভেঙে পড়ছে বাড়ি, আতঙ্কে বৌবাজার


খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর অভিযোগ, পুলিসের সামনেই ভাঙচুর চালায় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। পার্টি অফিসের চেয়ার-টেবিল সব ভাঙচুর করে। রাস্তায় দাঁড় করানো বাইক ভাঙচুর করে। এমনকি, তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বেলচা দিয়ে মেরে ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ির কাচ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ওই পার্টি অফিসগুলি তৃণমূলের ছিল। বিজেপি জবরদখল করেছিল। আজ সেগুলি দখলমুক্ত করা হল।