অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি! মন্ত্রিসভায় ঠাঁই অখিল গিরির
রামনগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিতাই সার বলেনন, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: চার বারের বিধায়ক। তবে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের রাজনীতিতে অধিকারী পরিবার ওজন হারাতেই মন্ত্রী হলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। এবার বিজেপি বিরোধিতার সঙ্গে অধিকারী পরিবারের বিরোধিতাও করেছেন জমিয়ে। তবে জেলার রাজনীতির খবর যারা রাখেন তারা জানেন, বহুদিন থেকেই অধিকারী পরিবারের রাজনীতির বিরোধী অখিলবাবু। জেলা রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে অধিকারী পরিবারের জবাব দিতেই মন্ত্রী করা হয়েছে গিরিকে।
আরও পড়ুন-করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের হাতে তীব্র সমালোচিত মোদী
মন্ত্রী হয়েই অখিল জানিয়েছেন, বিজেপি তো বটেই লড়াইটা এবার ছিল অধিকারী(Suvendu Adhikari) পরিবারের সঙ্গেও। কারণ তারা যে ভাবে দল পরিচালনা করছিলেন তা মেনে নিতে পরিছিলেন না তিনি। অর্থাত্ একসময় যে লড়াইটা ছিল ভেতরে ভেতরে, সেটা এবার ছিল সামনাসামনি।
প্রথমবার বিধায়ক হন ২০০১ সালে। তার পর ২০১১ ও ২০১৬ সালেও বিধায়ক হন। এতদিন মন্ত্রিত্ব পেলেন। তবে অধিকারী পরিবার তৃণমূল ছাড়তেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অখিল গিরিকে মন্ত্রী করার খুশির হাওয়া রামনগরে। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকুলবর্তি এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে উপার্জন। দীঘা, শঙ্করপুর, জুনপুট, পেটুয়াঘাচের মতে মত্স কেন্দ্র করেছে এই জেলায়। সেখানে মত্সমন্ত্রী করা হয়েছে অখিল গিরিকে(Akhil Giri)। এতে খুশি মত্সজীবী মানুষজন।
আরও পড়ুন-রাজ্যে নরসংহার চলছে: Suvendu; দেখতেই পেলাম না! বিস্মিত Mamata
রামনগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিতাই সার বলেনন, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে অখিলবাবুকে মন্ত্রী করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রত্যাশা ছিল অখিলবাবু এবারে মন্ত্রী হবেন। সেই আশা দিদি পূরণ করেছেন। তাই রামনগরবাসী,স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষজন খুশি। মত্সজীবী বটকৃষ্ণ পাত্র বলেন, আমাদের এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি মত্স মন্ত্রী হওয়ায় আমরা স্বভাবতই খুশি। নতুন মত্সমন্ত্রীর কাছে আামাদের দাবি মোহনার ড্রেজিং,মত্সজীবীদের পরিচয়পত্র ,ব্যান পিরিয়ডে সময় গরিব মত্স জীবিদের বিকল্প কর্ম সংস্থানের দিকে উনি যেন নজর দেন।