আল কায়দা জঙ্গিদের সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে আইসিস যোগ, তদন্ত এগোতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য
দশ জঙ্গি ধরা পড়লেও আরও ২৭ জনকে খুঁজছে এনআইএ।
নিজস্ব প্রতিবেদন- আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃত ১০ জনকে জেরা করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যত তদন্ত এগোচ্ছে ততই আল কায়েদার সঙ্গে isis যোগ স্পষ্ট হচ্ছে।
এনআইএ-র তদন্তে উঠে আসছে আল কায়দা জঙ্গিদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট অর্থাৎ আইসিস যোগ। গত সপ্তাহে বাংলা থেকে ছজন এবং কেরালা থেকে যে তিনজনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রমাণও মিলেছে। উঠে এসেছে নতুন তথ্য।
২০১৯ সালের জুন মাসে উলুবেড়িয়া থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। বীরভূমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশের বাসিন্দা আরো তিনজন - আল মামুন, আল আমিন এবং মহসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতরা আইসিস-এর সদস্য ছিল। এদের মধ্যে মহসিন বাংলাদেশের আইসিস প্রধান আমির নাসিরুল্লার খুব কাছের লোক ছিল। কিন্তু নাসিরুল্লা গ্রেফতার হওয়ার পরই এরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসে। থাকতে শুরু করে উলুবেড়িয়াতে।
আইসিস- এর হয়ে রবিউল প্রায় ৩৭ জনকে রিক্রুট করেছিল। তাদের মধ্যে ছিল মোর্শেদ হোসেন, মহসিন হাসান, আবু সুফিয়ান ও আতাউর রহমান রয়েছে। মহসিন ছাড়া বাকি তিনজনই আল কায়দা যোগে এই মুহূর্তে nia হেফাজতে।
আরও পড়ুন- মাদ্রাসার আড়ালে জেহাদি কর্মকাণ্ড! ১০ নম্বর আল কায়দা জঙ্গি দিল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য
পরিকল্পনা ছিল উত্তরপ্রদেশ বা কেরলের কোনও জঙ্গলে এদের ট্রেনিং দেওয়ার। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই তাদের গ্রেফতার করে ফেলে এনআইএ। জেএমবি বা আইসিস-এর ভাবধারাকেই তারা এগিয়ে নিয়ে যায় পরিকল্পনা করে। রবিউলের গ্রেফতারের পর মোর্শেদ হাসান নিজে ওই সময় রিক্রুট হওয়া ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। তারপরই এই নতুন গ্রুপ তৈরি করে। nia বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল থেকে যে পিডিএফ ফোল্ডার পেয়েছে সেখানে বেশিরভাগই আইএস-এর ম্যাগাজিন বা বই পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে ধৃত এই দশ জনের আইসিস যোগ। দশ জঙ্গি ধরা পড়লেও আরও ২৭ জনকে খুঁজছে এনআইএ।