মাদ্রাসার আড়ালে জেহাদি কর্মকাণ্ড! ১০ নম্বর আল কায়দা জঙ্গি দিল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য
শামিম আনসারির কােড নাম ছিল মুন্না। আল কায়দার স্লীপার সেল-এর সদস্য ছিল সে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- মাদ্রাসার আড়ালে চলে জেহাদি কর্মকাণ্ড। এমন সন্দেহ আগেই করেছিল এনআইএ। এবার সেই সন্দেহই সত্যি হল। মুর্শিদাবাদ ও কেরলের এর্নাকুলাম থেকে এর আগেই নজন আল কায়দা মডিউল-এর জঙ্গি ধরা পড়েছে। এবার দশ নম্বর জঙ্গিও এনআইএ-র জালে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে শামিম আনসারি নামের এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করার পর একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে এনআইএ। জলঙ্গি থানার নওদাপাড়া গ্রাম থেকে আনসারিকে আটক করা হয়েছিল। তার পরই জেরার মুখে সে আল কায়দায় সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নেয়।
NIA এবং রাজ্য পুলিশের STF যৌথ অভিযান চালিয়ে শামিম আনসারিকে আটক করেছিল। তদন্তের স্বার্থে আগে থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলির উপর নজরদারি চালিয়েছিল এনআইএ। এবার আনসারিকে জেরা করে এনআইএ কর্তারা জানতে পেরেছেন, মাদ্রাসার আড়ালে সবরকম জেহাদি কাণ্ড চলে। মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে ধৃত আল মামুনের মাদ্রাসাতেই চলত সবরকম জেহাদি কর্মকাণ্ড। সেই আল মামুনের ঘনিষ্ঠ ছিল আনসারি। মাঝেমধ্যেই সে-ও আল মানুনের মাদ্রাসায় গিয়ে জেহাদি কর্মকাণ্ডে যোগ দিত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন- দশ নম্বর আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতার ! এনআইএ আটক করেছিল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে
এনআইএ কর্তারা জানতে পেরেছেন, শামিম আনসারির কােড নাম ছিল মুন্না। আল কায়দার স্লীপার সেল-এর সদস্য ছিল সে। ১৮ থেকে ২০ বয়সী যুবকদের টার্গেট করত আনসারি। মাদ্রাসায় আসা ছাত্র-ছাত্রীদের জেহাদের পাঠ পড়িয়ে দলে টানাই ছিল লক্ষ্য। এমনকী বেশ কিছু জঙ্গিকে বাংলাদেশ বর্ডার পার করতে সাহায্য করত আনসারি। আবার আকিসের সাব হ্যান্ডলার হিসাবেও কাজ করত সে। এনআইএ বাকি ছয় জঙ্গির সঙ্গে আনসারিকে বসিয়ে জেরা করতে পারে। তার পর তাকে তোলা হবে দিল্লিতে এনআইএ-র আদালতে।