Bashirhat: বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক! নৃত্য শিল্পীকে খুনের অভিযোগ, তদন্তে পুলিস
পুলিস ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, গত দু’বছর হাসনাবাদের ন’পাড়ার বাসিন্দা মাতিন গাজির সঙ্গে বিয়ে হয় তসলিমার। পেশায় একজন নৃত্য শিল্পী তসলিমা। গ্রামে গ্রামে স্টেজ শোতে অংশ নিতেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নৃত্য শিল্পীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য বসিরহাটে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর পঞ্চাননতলা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর,দেগঙ্গার পোলতার আটি গ্রামে বাড়ি মৃতার। নাম তসলিমা বিবি (২৬)। তার স্বামী বর্তমানে জেলে। সেখান থেকে কখনও মোবাইলে কখনও লোক মারফত তসলিমাকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল বলে পরিবারের অভিযোগ।
শুক্রবার রাতে তসলিমাকে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর পঞ্চাননতলা এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিস। পুলিস ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, গত দু’বছর হাসনাবাদের ন’পাড়ার বাসিন্দা মাতিন গাজির সঙ্গে বিয়ে হয় তসলিমার। পেশায় একজন নৃত্য শিল্পী তসলিমা। গ্রামে গ্রামে স্টেজ শোতে অংশ নিতেন।
স্ত্রীর নাচের বিষয়টি অবশ্য মেনে নিতে পারেনি পেশায় অপরাধ মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত মাতিন। মাদক সহ ধরা পড়ায় বর্তমানে জেলে আছে সে। এ দিকে স্বামী জেলে যাওয়ার পর ইটিন্ডার এক জলসায় তসলিমার সঙ্গে পরিচয় হয় নাকুয়াদহের বাসিন্দা মিঠুন বিশ্বাসের।
শুক্রবার দুপুরে মিঠুন এবং তসলিমা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে চাঁপাপুকুর এলাকায় একটা ঘর ভাড়া নেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় মিঠুন বাড়ির মালিককে ফোন করে জানায় বাথরুমে পড়ে গেছে তার স্ত্রী। মালিক বিশ্বনাথ মণ্ডল স্থানীয় একজন চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে গেলে তিনি জানান মারা গেছেন তসলিমা। এই খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। এ দিকে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে জানতে পেরে এলাকা ছেড়ে পালায় মিঠুন। পরে পুলিস তাকে হিঙ্গলগঞ্জ এলাকা থেকে ধরে।
শনিবার তসলিমার বোন সেরিনা বিবি পুলিসের কাছে দাবি করেন যে, আমাদের বিশ্বাস জেল থেকে মাতিন লোক লাগিয়ে বোনকে খুন করিয়েছে। ধৃত মিঠুনের দাবি, ''জলসায় নাচ দেখে ভালো লেগে যায় তসলিমাকে। তারপরেই চার মাস চলছে প্রেমের সম্পর্ক। আমি তসলিমাকে খুন করিনি।''
প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, তসলিমার হাতে উল্কি এবং সিগারেটের আগুনের ছাঁকা এবং গলা ও পিঠের কাছে দাগ রয়েছে। বসিরহাট পুলিস জেলার ডি এস পি হেডকোয়াটার গুলাম সরোয়ার বলেন,‘‘গলায় ওড়নার জড়ানো অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোট হাতে আসলে তবেই ঘটনাটি খুন নাকি আত্মহত্যা তা পরিস্কার হবে।
আরও পড়ুন, Hanskhali: হাঁসখালিকাণ্ডে মূল হাতিয়ার হতে পারে DNA, রিপোর্টে নজর CBI- এর