Hanskhali: হাঁসখালিকাণ্ডে মূল হাতিয়ার হতে পারে DNA, রিপোর্টে নজর CBI- এর

সূত্রের খবর, নির্যাতিতার মা-বাবারও ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাঁসখালির ধর্ষণ-খুনের মামলায় পুলিস যাঁদের বয়ান নিয়েছিল, এবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

Updated By: Apr 17, 2022, 10:44 AM IST
Hanskhali: হাঁসখালিকাণ্ডে মূল হাতিয়ার হতে পারে DNA, রিপোর্টে নজর CBI- এর
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali case) মূল অভিযুক্ত ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালি-সহ তিনজনের DNA পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। সূত্রের খবর, নির্যাতিতার মা-বাবারও DNA পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাঁসখালির ধর্ষণ-খুনের মামলায় পুলিস যাঁদের বয়ান নিয়েছিল, এবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। 

গণধর্ষণের প্রমাণে DNA-টেস্টের রিপোর্টকেই প্রধান হাতিয়ার করতে চাইছে সিবিআই। DNA পরীক্ষা জন্য শনিবার রাতে সোহেল, প্রভাকর ও রঞ্জিতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে DNA টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল নির্যাতিতার বাবা-মায়ের।

DNA টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হবে দিল্লিতে। তদন্তকারীদের বক্তব্যে, রক্তের নমুনা থেকে মেলা DNA র সঙ্গে কিশোরী বাবা মায়ের DNA মিলে গেলে ওই বাড়িতে কিশোরীর উপস্থিতির প্রমান স্পষ্ট হবে। হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিক। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছে দু'জন। যাদের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেল ওরফে ব্রজ গয়ালি।

ইতিমধ্যেই হাঁসখালিকাণ্ডে কিশোরীকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে। অথচ দেহ সৎকার হওয়ার পর দায়ের হয় অভিযোগ। ফলে এধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ যে ময়নাতদন্ত বা মেডিকমেডিক্যাল রিপোর্ট, কোনোটাই নেই এখানে।

মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতারও। ফলে নেই তাঁর বয়ানও। ফলে এক্ষেত্রে তদন্তের মূল অস্ত্র পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ। এই পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের মধ্যে তদন্তকারীদের কাছে  প্রধান ঢাল হয়ে উঠৈছে ব্রজর বাড়ি থেকে মেলা রক্তমাখা তোসক। 

অন্যদিকে, তোসকে মেলা রক্তের মধ্যে সিমেন স্যাম্পেল রয়েছে কিনা ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা সম্ভব। রক্তের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সিমেন স্যাম্পেল থাকলে তাও আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব।এক্ষেত্রে তোসকে মেলা রক্তের মধ্যে সিমেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে, সেই সিমেনের DNA র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে অভিযুক্তদের DNA। সেই DNA মিলে গেলে গণধর্ষণ প্রমাণ করা অনেকটাই সহজ হবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন, Chakdaha: সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার মৃত স্বামী, সন্ধেয় বন্ধ ঘরে মিলল স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.