বিধান সরকার: ভারতের চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের শরিক বাঙালিরাও। ভাগ্যবান এই বাঙালিদের মধ্যে রয়েছেন চুঁচুড়ার অমরনাথ নন্দী। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পরে সেই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পাড়ার ছেলের জন্য গর্বে বুক ফুলে উঠেছে ময়ূরপঙ্খী ঘাট এলাকার। পাড়ার তরফ থেকে সেই আনন্দে মিষ্টিমুখ করানো হল পথচলতি সকলকে। বাদ গেলেন না গাড়িচালকরাও। চন্দ্রযান ও অমরনাথের ছবি দিয়ে ফ্লেক্স ছাপিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Birbhum: ভেঙে পড়ল জয়দেব ফেরিঘাট! ছিন্ন পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে বীরভূমের যোগাযোগ...


চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। চন্দ্রযানের যাত্রাপথ এবং চাঁদের পৃষ্ঠে নামার পরে ল্যান্ডার 'বিক্রম' ও রোভার 'প্রজ্ঞানে'র কর্মকাণ্ডের পিছনে যাঁদের মস্তিষ্ক কাজ করেছে তাঁদেরই একজন এই অমরনাথ। বাড়ি চুঁচুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ময়ূরপঙ্খী ঘাট এলাকায়। পাড়ায় অমরনাথকে সবাই 'বুবুন' বলে ডাকে। হুগলি কলেজিয়েট স্কুলে তাঁর পড়াশোনা। উচ্চ মাধ্যমিকের পর জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হন। তারপর 'ইসরো'তে যোগ দেন। অমরনাথের প্রতিবেশী ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারী বলেন, 'বুবুনের জন্য আমরা গর্বিত। গোটা দেশবাসীর সঙ্গে চন্দ্রযানের সাফল্যের ভাগীদার আমাদের পাড়াও।'


অমরনাথের কাছে এক সময় পড়েছেন সোমনাথ ভঞ্জ। তিনি বলেন, বুবুনদা তখন বারো ক্লাসের পরীক্ষা দেবে আর আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। আমি অঙ্কে একটু কাঁচা ছিলাম। দাদার কাছে পড়েই অঙ্ক শিখেছি। খুব ভালো লাগছে সেই বুবুনদা এবং 'ইসরো'র বিজ্ঞানীরা যা করে দেখিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বিপুল বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা, ঘরছাড়া মানুষ! জারি লাল সতর্কতা...


অমরনাথের বাড়িতে বর্তমানে একজন কেয়ারটেকার থাকেন। তাঁর নাম অভিজিৎ দাস। তিনি জানান, অমরনাথের বাবা নেই, মা অন্যত্র থাকেন। মাঝেমধ্যে অমরনাথের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। শুক্রবারও ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)