নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচিতে ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল ভোটের রাজনীতি করছে, অভিযোগ তুললেন অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, শনিবার সকালে পাঠানকুলিতে দলীয় সংঘর্ষে প্রাণ যাওয়া যুবককে নিয়ে তিনি একবারও কথা বলছেন না। অথচ শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুকে ভোটের ইস্যু করে তুলেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন মমতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার রাজ্যে এসে তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা অমিতের। তিনি বললেন, ‘মৃত্যু নিয়ে তোষণের রাজনীতি করছেন তৃণমূল নেত্রী। দিদি আমতলির ৪ জনকে শ্রদ্ধা জানালেন, ফোন করলেন, পাশে দাঁড়ালেন। অথচ আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে একটা শব্দও বললেন না। কারণ, আনন্দ রাজবংশী সম্প্রদায়ের যুবক। দিদির ভোটব্যাঙ্ক নয়।’
রবিবার নদিয়ার শান্তিপুরে রোড শো শেষে সাংবাদিকদের অমিত বলেন, ‘কোনও মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করাই ঠিক নয়। কমিউনিস্ট ও তৃণমূলের আমলে বাংলায় এই হিংসার চল। নির্বাচনে জিতে বিজেপি এলে বাংলা থেকে হিংসা দূর হবে।‘ 


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: ভায়া ভিডিয়ো কল, না গিয়েও শীতলকুচিতে মমতা


এর আগেই শনিবার রাজ্যে প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারের জনসভায় মমতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই শীতলকুচির ঘটনা ঘটেছে। তারই প্রতিধ্বনি শাহের মুখে। তিনিও বললেন, ‘এই শীতলকুচিতেই কিছু দিন আগে সভায় দিদি মহিলাদের বলেছিলেন, হাতা-খুন্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরতে।‘ শাহ আরও বলেন, ‘দিদি, আপনার এই ভাষণ কি এই মৃত্যুগুলোর জন্য দায়ী নয়? প্রকাশ্য জনসভায় এমন ভাষণ না দিলে এই ঘটনা ঘটত না। আপনার উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখনও সুযোগ আছে দিদি। আনন্দর মৃত্যুকেও শ্রদ্ধা জানান। আপনার দেওয়া ভাষণের জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চান।’’


শীতলকুচির ঘটনা ছাড়া চতুর্থ দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানান শাহ। বাকি ৪ দফাতেও যাতে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।