নিজস্ব প্রতিবেদন:  সভাস্থলের পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।  আচমকাই হাতজোড় করে কনভয়ের পথ আটকে দাঁড়ালেন এক বৃদ্ধ! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর করুণ আর্তি, 'পুরনো তৃণমূল কর্মীরা বসে যাচ্ছেন। আপনি একটু দেখুন।' মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: BJP হিন্দুদের ভোটটা নেবে, ওরা মুসলিমদের ভোটটা, আর আমি কি কাঁচাকলা খাব?: Mamata


কে এই বৃদ্ধ? জলপাইগুড়ি শহরের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা রাজেন রায়। বয়স সত্তরের কোটায়। এলাকায় আদি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি। কিন্তু ইদানিং দলের দুরবস্থা দেখে আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) হাতে কাছের পেয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন তিনি। রাজেন রায়ের দাবি, 'জেলায় দলের আদি কর্মীদের আর গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। এটা কেন হবে? বৃষ্টির সময়ে জলপাইগুড়ি শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডেই জল জমে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই সমস্যারও স্থায়ী সমস্যা করার দাবি জানিয়েছি।' মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ দাঁড়াননি। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী দ্রুত ওই বৃদ্ধকে সরিয়ে দেন। এরপর কনভয়ে চলে যায় সভাস্থলের দিকে। ঘটনায় জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর প্রতিক্রিয়া, পার্টি অফিস সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। যে কেউ অভাব-অভিযোগ জানাতে পারেন।  


আরও পড়ুন: 'রিপোর্ট দেখে অনেকাংশে সন্তুষ্ট', দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি থেকে সরল Ulen Roy-র পরিবার


উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে যখন জলপাইগুড়িতে আসেন, তখনও শহরের বাবুপাড়ায় এলাকায় একই কায়দায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকেছিলেন এই রাজেন রায়। সেবার নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেদ পানীয় জলের সমস্যা সংক্রান্ত একটি চিঠি তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাতে। তাতে কাজও হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরের দিনই এলাকায় হাজির হয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এবার কী হবে? অপেক্ষায় প্রবীণ ওই তৃণমূল কর্মী।