Covid 19: কোভিডের আতঙ্ক! রাজ্যে ফের মৃত্যু, আক্রান্ত বেশ কয়েকজন...
চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ঘোষণা করে, `কোভিড ১৯ আর ‘আপৎকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়’ নয়`। দাবি করা হয়, `মূলত টিকারণের জন্যই কোভিডকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে`।
অরূপ লাহা: ফের কোভিড! বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও একজনের। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের অবশ্য দাবি, 'অ্যান্টিজেন টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। এটা হতেই পারে'।
আরও পড়ুন: পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে, মহারাষ্ট্রের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল জলপাইগুড়ির ৪ শ্রমিকের!
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তায়ুব সেখ। বাড়ি, বীরভূমের কীর্ণাহারে। পড়়ে দিয়ে শরীরে আঘাতে পান তিনি। আয়ুবকে প্রথমে ভর্তি করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এরপর শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায়, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কবে? ২৪ জুলাই।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে ওই তরুণের। মৃত্যু হল আজ, মঙ্গলবার। কোভিডই কাড়ল প্রাণ? মানতে নারাজ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক। তিনি জানিয়েছেন, 'শ্বাসকষ্ট ও এনকেফেলাইটিসও ছিল। অ্যান্টিজেন টেস্টে কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। এটা হতেই পারে। RTPCR-এ রিপোর্ট পজিটিভ হলে, তবে রোগীকে কোভিড আক্রান্ত বলা যায়'।
এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় ও সোমবার সকালে আরও ২ রোগীর মৃত্যু হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কীভাবে? সূত্রে খবর, বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন দু'জনেই। এরপর যখন বর্ধমান মেডিক্য়াল ও কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন কোভিড টেস্ট করা হয় তাঁদের। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল! শুধু তাই নয়, কোভিড আক্রান্ত হয়ে আরও বেশ কয়েকজন ভর্তি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Kangchenjunga: সাতসকালেই ঝলমলে চারদিক, নীল আকাশের ওপারে দেখা মিলল 'ঘুমন্ত বুদ্ধ-র
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ঘোষণা করে, 'কোভিড ১৯ আর ‘আপৎকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়’ নয়'। দাবি করা হয়, 'মূলত টিকারণের জন্যই কোভিডকে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে যেখানে বিশ্বে প্রতি ১ লক্ষ মানুষ কোভিডে প্রাণ হারাতেন, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সেই সংখ্যাটা নেমে এসেছে মাত্র ৩৫০০-তে। এরপর কোভিড ১৯-এর অস্তিত্ব থাকলেও ভয়াবহ কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই'। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি কোভিডকে আপৎকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের তকমা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।