`বাসুদেব বাউলের কষ্ট ১০ বছর পর মনে পড়ল TMC-র`, কটাক্ষ BJP নেতা Anupam-এর
`অমিত শাহজি মধ্যহ্নভোজন করলেই, যদি এরকম কিছু গরিব পরিবার তৎক্ষণাৎ সরকারি সাহায্য পায়, তাহলে এরকম মধ্যাহ্নভোজন আগামী দিনে আরও হবে!!!`
নিজস্ব প্রতিবেদন : এক প্রান্তে বিজেপি (BJP)। আরেক প্রান্তে তৃণমূল (TMC)। মাঝখানে বাসুদেব দাস বাউল (Basudeb Das)। মধ্য়াহ্নভোজ রাজনীতির পাল্টা শিক্ষায় আর্থিক সাহায্য। রবিবার বোলপুর সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) শ্যামবাটি ঘুরে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া দড়ি টানাটানি পর্ব।
রবিবার অমিত শাহ (Amit Shah) ঘুরে যাওয়ার পরই মঙ্গলবার বাসুদেব দাস বাউলকে (Basudeb Das) পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর মেয়ের ডিএড পড়ার ব্যবস্থা করছে বলে জানান তিনি। এরপরই এদিন পাল্টা কটাক্ষ করলেন বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। ফেসবুক পোস্টে তিনি তোপ দাগেন, "তৃণমূল সরকারের গত ১০ বছরে বাসুদেব বাউলের দুঃখ-কষ্টের কথা মনে পড়েনি। ঠিক অমিত শাহজির মধ্যাহ্নভোজনের পরই হঠাৎ করে মনে পড়লো!!! যাক, আবার প্রমাণিত হল, সমাজের হতদরিদ্র মানুষগুলির দুঃখ-কষ্ট শনাক্তকরণে বিজেপিই সবথেকে এগিয়ে!!! আর অমিত শাহজি মধ্যহ্নভোজন করলেই, যদি এরকম কিছু গরিব পরিবার তৎক্ষণাৎ সরকারি সাহায্য পায়, তাহলে এরকম মধ্যাহ্নভোজন আগামী দিনে আরও হবে!!! ২০২১-এর পর এই বাসুদেব বাউলই (আমি বোলপুর ছাড়তেই) "তৃণমূলের বাড়ি থেকে সপরিবারে তুলে নিয়ে যাওয়া"র কাহিনী নিজের মুখেই ব্যক্ত করবেন!!!"
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার গত 10 বছরে বাসুদেব বাউল'এর দুঃখ-কষ্টের কথা মনে পড়েনি; ঠিক অমিত শাহ জি'র মধ্যাহ্নভোজনের পরই...
Posted by Anupam Hazra on Tuesday, December 22, 2020
প্রসঙ্গত গতকাল অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal) সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, "অমিত শাহ এসেছিলেন। ওর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। কিন্ত ও নিজের কথা কিছুই বলতে পারেনি। ওরা নাটক করতে এসেছিল। নাটক করে চলে গিয়েছে। এখন ওর মেয়ে ডিএড করতে চায়। সেই কারণে আমাদের শিক্ষা সেলের যিনি দায়িত্বে আছেন, সেই প্রলয় ব্যানার্জির সঙ্গে যোগযোগ করেছিল। ওর পক্ষে দেড় লাখ টাকা দিয়ে মেয়েকে ডিএড করানো সম্ভব না। তাই আমি বলে দিয়েছি, ওকে ডিএড-টা করিয়ে দিতে।"
অন্যদিকে বাসুদেব দাস বাউল (Basudeb Das) বলেন, "আমি নিজের বাড়িতে রেশনের চাল খাই। অমিত শাহের (Amit Shah) জন্য মিনিকিট এনেছিলাম। ওরা আমাকে কোনও সাহায্য করেনি। এমনকি, খাওয়ানোর পর থেকে ওরা কেউ যোগাযোগও করেনি। আমি ভেবেছিলাম, অমিত শাহকে বলব যে আমার মেয়ে এমএ করে বসে আছে। টাকার জন্য ডিএড করাতে পারিনি। কিন্তু বলা সম্ভব হয়নি। উনি সেবা করে চলে যান।"
আরও পড়ুন, প্রথম Metro ঢুকল Dakshineswar-এ, দেখুন কেমন হল স্টেশনের অন্দরমহল, Exclusive ছবি
'উনি ব্যবসায়ী মানুষ, ওনার সঙ্গে আমাদের আবার চ্যালেঞ্জ কীসের?' PK-কে পাল্টা Kailash