নিজস্ব প্রতিবেদন : দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সমালোচনা করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjere)। এবার আরামবাগের তৃণমূল (TMC) সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar) মুখ খুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে । লোকসভার চিফ হুইপ পদ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরে যেতে বললেন তিনি। এমনকি 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' বলেও আখ্যা দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। সবমিলিয়ে 'বিস্ফোরক' আরামবাগের সংসদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar) বলেন, "সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjere) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) লোকসভার চিফ হুইপ (Chief Whip)। আর তিনি যাঁর সম্বন্ধে বলছেন, তিনি লোকসভার ২ বারের সাংসদ এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই চিফ হুইপ হিসাবে যদি তাঁর কোনও মন্তব্য থেকেও থাকে, তাহলে তা দলের মধ্যেই বলতেন, দলের বাইরে নয়। আমরা দলে মমতাদির মতাদর্শ নিয়ে চলি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিফ হুইপ পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বলেছেন প্রকাশ্যে। একুশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন এক পায়ে মিটিং-মিছিল করেছিলেন, সেইরকম সেকেন্ড কমান্ড হিসেবে তরুণ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও  (Abhishek Banerjee) সারা বাংলা ছুটে বেরিয়েছেন। এই তরুণ সাংসদকে আক্রমণ (Hit) করা মানে আমাদের মতো তরুণ নেতা-নেত্রীদেরও আক্রমণ করা।"


আরামবাগের সাংসদ আরও বলেন যে, "পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঘর শত্রু বিভীষণ যদি কেউ থাকে তাহলে সমাজের কাছে এটা একটা লজ্জার বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন যে, আমি জেনারেশন তৈরি করে যাব। তৃণমূল সব সময়ের জন্য থাকবে। এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সিনিয়র নেতৃত্বের কাজ। এই ধরনের কথা বলে মনোবল ভেঙে ফেলার জন্য নয়।"


প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে 'সবকিছু ২ মাসের জন্য বন্ধ রাখা উচিত' বলে 'ব্যক্তিগতভাবে' মত পোষণ করেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর সেই মন্তব্যের পরই রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এর পাশাপাশি, করোনার সংক্রমণ রুখতে অভিষেকের 'ডায়মন্ড হারবার মডেল' প্রশংসা কুড়োয় সব মহলে। দলের মধ্যে 'নেতা অভিষেকে'র নামে জয়ধ্বনি ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন,"দলের সাংগঠনিক জায়গায় যে যাকে খুশি বসাতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমি কাউকে নেতা বলে মানি না।" কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই মন্তব্যের পরই আবার পাল্টা কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষও।


আরও পড়ুন, পুরভোট ৪-৬ সপ্তাহ পিছতে পারে কি? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে জানাতে নির্দেশ হাইকোর্টের


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)