ওয়েব ডেস্ক : ভাতের থালায় আর্সেনিকের থাবা। ভুগর্ভস্থ জল থেকে আর্সেনিক মিশছে শস্য, শাক-সবজিতে। আর সেই দুষিত খাবারই পড়ছে আমার আপনার পাতে। আর্সেনিক দুষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাত না হলে বাঙালির চলে না। কিন্তু সেই ভাতের থালাতেই থাবা বসাচ্ছে আর্সেনিক। চিন্তায় কৃষিবিজ্ঞনীরা। শুধু জল নয়। ভুগর্ভস্থ জল থেকে মাটিতে মিশছে আর্সেনিক। আর মাটি থেকে তা মিশছে শস্য, ফল, শাক-সবজিতে। বাদ নেই পশু পাখিও। আর সেই পথেই বিষাক্ত আর্সেনিক মিশে যাচ্ছে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধেও। রাজ্যের ৮৪টি ব্লককে আর্সেনিক প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। শুধু নদিয়াতেই ১৭টি ব্লক আর্সেনিক প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আর্সেনিকের প্রভাব ছড়িয়েছে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া এবং কলকাতাতেও। সবচেয়ে বেশি মাত্রায় আর্সেনিক মিশছে ধানে। সেখান থেকে আর্সেনিক পৌঁছে যাচ্ছে ভাতের থালায়।


আরও পড়ুন- দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসে জলে ডুবে মৃত্যু স্কুলছাত্রের


আর্সেনিকের প্রকোপ থেকে শস্য, বিশেষত চালকে কীভাবে মুক্ত করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁরাই দিশা দেখাচ্ছেন। প্রায় ২৫টি বিভিন্ন ধরনের চাল নিয়ে জেলায় জেলায় পরীক্ষা চালিয়েছেন তাঁরা। ফলও মিলেছে। গোবিন্দভোগ, তুলাইপাঞ্জি, রাধুনীপাগল এবং রাধাতিলক- এই চারটি চালের নির্যাস থেকে তৈরি হয়েছে নতুন এক ধরণের চাল। এই নতুন চালে সহজে আর্সেনিক মেশা কঠিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই চালের নাম দিয়েছেন মুক্তশ্রী। রাজ্য সরকারের রৌদ্র-বৃষ্টি আউটলেটে এখন সহজেই মিলছে মুক্তশ্রী চাল। এছাড়াও কৃষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কৃষক অ্যাকাডেমিতে চলছে প্রশিক্ষণ।