নিজস্ব প্রতিবেদন: "টিকিয়াপাড়ার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। এটা একটা চক্রান্ত।" বললেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি আরও বলেন, "পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দোষীদের খুঁজে বের করার।  টিকিয়াপাড়া শান্তিপ্রিয় এলাকা এখানে এধরনের ঘটনা কাম্য নয়।"
তিনি জানান, এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। লকডাউন মানতে পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই থমথমে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া। রাস্তাঘাট ফাঁকা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, গতকাল হাওড়ায় লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কন্টেইনমেন্ট জোন বেলিলিয়াস রোডে বাধা পায় পুলিস। মঙ্গলবার বেলিলিয়াস রোডে বিকেল চারটে নাগাদ একটি বাজারে ফল কিনতে অনেক লোকের জমায়েত হয়। রেড জোন হাওড়ার ওই এলাকাতেও সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন চলছে। তার মধ্যে ওই জমায়েত দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিস। পুলিসের কথা শোনার বদলে উলটে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জনতা। পুলিসের ওপর হামলা শুরু করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিসের দুটি গাড়ি।
 এর পর এলাকায় ব়্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিস। প্রথমে ব়্যাফকে ঘিরে ধরে জনতা। পরে তাড়াও করে।


হাওড়া টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় অপসারিত পুর-কমিশনার, রাতেই সিদ্ধান্ত নবান্নের
পুলিসে এক স্থানীয় বাসিন্দা পিছন থেকে লাথি মারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। তা ঘিরে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে সবমহল থেকেই।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে রাতেই টুইট করে রাজ্য পুলিস। ক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিসের এই টুইটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিটুইট আরও বিষয়টি স্পষ্ট করে।