হাওড়া টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় অপসারিত পুর-কমিশনার, রাতেই সিদ্ধান্ত নবান্নের

এদিন রাত ১১ টা নাগাদ নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়

Updated By: Apr 29, 2020, 10:17 AM IST
হাওড়া টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় অপসারিত পুর-কমিশনার, রাতেই সিদ্ধান্ত নবান্নের

নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিসের ওপর হামলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নবান্নের। বেলিলিয়াস রোডে ঘটনার রাতেই সরিয়ে দেওয়া হল পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণাকে।

এদিন রাত ১১ টা নাগাদ নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈন আপাতত পুর কমিশনার পদের দায়িত্বও সামলাবেন। আর বিজিন কৃষ্ণাকে পাঠানো হয়েছে প্রাণী সম্পদ দফতরের যুগ্ম সচিবের দায়িত্বে। তবে এক্ষেত্রে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পুর কমিশনারের ওপর এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেই। সেক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না।
এই ঘটনায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "টিকিয়াপাড়ার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। এটা একটা চক্রান্ত। পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দোষীদের খুঁজে বের করার। টিকিয়াপাড়া শান্তিপ্রিয় এলাকা এখানে এধরনের ঘটনা কাম্য নয়।"
প্রসঙ্গত, গতকাল হাওড়ায় লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কন্টেইনমেন্ট জোন বেলিলিয়াস রোডে বাধা পায় পুলিস। মঙ্গলবার বেলিলিয়াস রোডে বিকেল চারটে নাগাদ একটি বাজারে ফল কিনতে অনেক লোকের জমায়েত হয়। রেড জোন হাওড়ার ওই এলাকাতেও সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন চলছে। তার মধ্যে ওই জমায়েত দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিস। পুলিসের কথা শোনার বদলে উলটে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জনতা। পুলিসের ওপর হামলা শুরু করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিসের দুটি গাড়ি।
 এর পর এলাকায় ব়্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিস। প্রথমে ব়্যাফকে ঘিরে ধরে জনতা। পরে তাড়াও করে। এই খবর শুনে এর পর হাওড়া থানা ও ব্যাঁটরা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ছ’জন।

পুলিসে এক স্থানীয় বাসিন্দা পিছন থেকে লাথি মারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। তা ঘিরে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে সবমহল থেকেই।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে রাতেই টুইট করে রাজ্য পুলিস। ক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিসের এই টুইটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিটুইট আরও বিষয়টি স্পষ্ট করে।

.