নিজস্ব প্রতিবেদন : আগেই জানিয়েছিলেন নৈতিক জয় হয়েছে তাঁদের। অবশেষে আজ শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলির দায়িত্ব নিল বামফ্রন্ট। প্রশাসক মণ্ডলির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অশোক ভট্টাচার্য। করোনার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা রাজ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায় পুরভোট। তার জেরেই রাজ্যের পুরসভাগুলিতে দেখা দেয় প্রশাসনিক সঙ্কট। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা সহ রাজ্যের আরও ৯৩টি পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলির নাম ঘোষণা করলে দেখা দেয় বিতর্ক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশাসক মণ্ডলিতে বামেদের ৬ কাউন্সিলরের সঙ্গেই তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলরের নাম থাকায় তীব্র বিরোধিতা করেন অশোক ভট্টাচার্য। কলকাতা পুরসভা সহ রাজ্যের অন্য যে পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে কোথাও বিরোধী কাউন্সিলর রাখা হয়নি। এদিকে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম কেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি। শিলিগুড়ির মানুষের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন। তোপ দাগেন, সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি করছে সরকার। অবিলম্বে ঘোষিত প্রশাসক বোর্ড বাতিল করে নয়া বোর্ডের নাম ঘোষণার দাবি জানান। প্রশাসক বোর্ড থেকে ৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান। 


শেষমেশ বামেদের দাবি মেনে পুর প্রশাসকমণ্ডলী থেকে বাদ দেওয়া হয় ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম। বিদায়ী মেয়র ও মেয়র পারিষদদের নিয়েই তৈরি হয় প্রশাসকমণ্ডলী। নতুন তালিকায় অশোক ভট্টাচার্য-সহ ৭ জনকে নিয়ে তৈরি করা হয় প্রশাসকমণ্ডলী। প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হয় প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে। এই ঘটনাকে জনমতের জয় বলে উল্লেখ করেন অশোক ভট্টাচার্য। অবশেষে আজ প্রশাসক হিসেবে শিলিগুড়ি পুর নিগমের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি।


আরও পড়ুন, বাস নেই, ট্রেকারে চড়েই গন্তব্যে রওনা, শিকেয় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং, ভোগান্তিতে যাত্রীরা