অবশেষে বাড়ি পেতে চলেছে চন্দ্রকোনার মনসাতলা চাথালের ৭ আদিবাসী পরিবার
দীর্ঘ ৪ বছর কেটে গেলেও তাদের দিকে তাকাইনি প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শাসক দলের নেতাকর্মীরা। পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হলেও পুনর্বাসন না পেয়ে কার্যত হতাস হয়ে পড়েছিল আদিবাসী পরিবারগুলি
নিজস্ব প্রতিবেদন: উন্নয়নের উল্টো পিঠ। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়়ক সম্প্রসারণের ফলে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের দিয়ারা গ্রামের ৭ আদিবাসী পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। ভিটেমাটি হারিয়ে গত ৪ বছর তারা রাত কাটাচ্ছিলেন চন্দ্রকোনার মনসাতলা চাথালের নীচের টানেলে। তাদের সেই সমস্যার সুরাহা হল জি২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে।
আরও পড়ুন-নেতাজির জন্মদিন এবার 'পরাক্রম দিবস', ভালো হতো এটি 'দেশপ্রেম দিবস' হিসেবে পালন করলে: চন্দ্র বসু
দীর্ঘ ৪ বছর কেটে গেলেও তাদের দিকে তাকাইনি প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শাসক দলের নেতাকর্মীরা। পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হলেও পুনর্বাসন না পেয়ে কার্যত হতাস হয়ে পড়েছিল আদিবাসী পরিবারগুলি। সোমবারই ওই আদিবাসী পরিবারগুলির দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয় জি ২৪ ঘণ্টার পর্দায়। এতেই টনক নড়ল প্রশাসনের।
মঙ্গলবার চন্দ্রকোনার সভায় দাঁড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতির ঘোষণা, বুধবারই "বাংলা আবাস যোজনা"য় বাড়ি তৈরির চেক তুলে দেওয়া হবে আদিবাসী পরিবারগুলির হাতে। প্রয়োজনে জমিও দেওয়া হবে তাদের।
আরও পড়ুন-'পরাক্রম দিবস' নাম পছন্দ নয়, নেতাজীর জন্মদিনে রাজ্যে 'দেশনায়ক দিবস' পালন করবেন মমতা
অজিত মাইতির এই ঘোষণার পর রীতিমতো তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরেও। মঙ্গলবার সভা শেষেই বিধায়ক,বিডিও সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা তড়িঘড়ি ছুটে গেলেন আদিবাসী পরিবারগুলোর কাছে। কথা বললেন আদিবাসী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। দেওয়া হয় তাদের কম্বল।
আগামিকাল এই পরিবার গুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকা, দেওয়া হবে সরকারি জমি। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।