মৃ্ত্যুঞ্জয় দাস: কংসাবতী সেচ ক্যানালের জল উপচে প্লাবিত হল কয়েকশো বিঘা রবি ফসলের জমি। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের কাঁটাপাল এলাকায়। বিঘের পর বিঘে ফসলের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। যদিও খবর পাওয়ার পর ওই সেচ ক্যানালে জল ছাড়া বন্ধ করে কংসাবতী সেচ কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভয়ংকর পরিস্থিতি, ভারতীয়দের মায়ানমারের রাখাইন ছেড়ে দ্রুত দেশে ফিরতে নির্দেশ বিদেশমন্ত্রকের


এমনিতেই একের পর এক নিম্নচাপের জেরে বাঁকুড়া জেলায় চলতি বছর আলু, সরষে, বাদাম সহ রবি ফসলের মরসুম শুরু হয়েছে অনেক দেরিতে। স্বাভাবিকভাবে নাবি করে লাগানো এই ফসলের উৎপাদন হয়েছে তুলনামূলক কম। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো কংসাবতী সেচ ক্যানালের জল উপচে ডুবে গেল বিস্তীর্ণ এলাকার রবি ফসলের জমি।


গতকাল আচমকা ক্যানালের জল উপচে ঢুকে পড়ে কাঁটাপাল, পাটমৌলি,  বাঁদরবনি, আমলাপাল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম লাগোয়া প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে। আলু,  বাদাম,  সরষে সহ অন্যান্য রবি ফসলের জমিতে কোথাও এক হাঁটু কোথাও আবার এক ফুট উচ্চতায় জল দাঁড়িয়ে যায়। এর ফলে চূড়ান্ত লোকসানের আশঙ্কার প্রহর গুনতে শুরু করে স্থানীয় কৃষকরা।


কংসাবতী সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে রবি ফসলে সেচের জন্য মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে দিন সাতেক আগে রাইট ব্যাঙ্ক মেইন ক্যানালে ৬০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। ক্যানালের শেষ প্রান্তে জল না পৌঁছানোয় জলের প্রেসার বৃদ্ধি করতে জল ছাড়ার পরিমাণ দিন চারেক আগে বৃদ্ধি করে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ। ওই সেচ ক্যানালে জল ছাড়ার পরিমাণ ৬০০ কিউসেক থেকে বাড়িয়ে ১২০০ কিউসেক করতেই রাইপুরের কাঁটাপাল এলাকায় ক্যানাল উপচে জল ঢুকতে শুরু করে পার্শ্ববর্তী জমিতে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দ্রুত খবর দেওয়া হয় মুকুটমনিপুর জলাধারে। খবর পাওয়ার পর গতকাল রাতেই রাইট ব্যাঙ্ক মেইন ক্যানালে জল ছাড়া বন্ধ করে দেয় মুকুটমনিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ। আপাতত জল ছাড়া বন্ধ করা হলেও কাঁটাপাল, পাটমৌলি, বাঁদরবনি ও আমলাপাল গ্রামের কৃষকদের দাবী যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। এরপর সরকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে সেক্ষেত্রে কৃষকদের না খেয়ে মরতে হবে।


ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নব সর্দার বলেন, জলে ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আলু গিয়েছে। সরষে, মুসুর ভেসে যাচ্ছে। বাদামও করেছিলাম। সেটাও নষ্ট হয়ে গেল। চারদিকে জল। আমাদের এলাকায় প্রায় ৩০০ বিঘে জমি নষ্ট হয়ে গেল। অন্যদিকে, চন্দন মণ্ডল নামে অন্য এক চাষি বলেন, জলে সব চলে গেল। কংসাবতীয় জলে পুরোটাই ক্ষতি। মহাজনের ঋণ শোধ হবে না। বাদাম, সরষে সব ডুবে গেল।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)