Malbazar: হেঁটে পার হচ্ছিলেন নদী, লহমায় টেনে নিয়ে গেল তীব্র স্রোত! বোনের চোখের সামনে দিদির মৃত্যু...
Malbazar: সামান্য আলো তখনও ছিল। সেই আলোতেই গাটিয়া নদী পেরোতে হয় তাঁদের। হাতে ব্যাগ-পত্তর ইত্যাদি ছিল বলে কুইলি ওঁরাও সেগুলি পাড়ে রেখে আগে বোনকে নিরাপদে নদী পার করিয়ে ওপারে বসিয়ে রেখে পরে ব্যাগ-পত্তর নিতে ফের নদীতে নামেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বোনের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন দিদি। নদী পেরোতে গিয়ে ঘটল মৃত্যু। অথচ, সকালে এই নদী পেরিয়েই বোনের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। নদীতে ভেসে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল কুইলি ওঁরাও নামে বছর ৫২-র এক আদিবাসী মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের ভগতপুর চা-বাগানের চুন্দালাইনে।
বুধবার বেলা সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ কুইলি ওঁরাও তাঁর বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরোন। বোনের বাড়ি লুকসানের ৯ নম্বর লাইনে। এ পথে তাঁকে গাটিয়া নদী পেরোতে হয়। বোনের বাড়ি যেতে গেলে এই নদী পেরোতেই হয়। এদিনও পেরিয়েছেন। কথা ছিল তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে সেদিনই বিকেলে বাড়ি ফিরে আসবেন তিনি। সেই মতো বোনকে নিয়ে যথারীতি ফেরার পথও ধরেন।
তাঁদের ফিরতে একটু দেরিই হয়। এখন এ অঞ্চলে সাড়ে ছটা-পৌনে সাতটা পর্যন্ত আলো থাকে। তাঁদের নদীতে পৌঁছতে সাতটা বেজে গিয়েছিল। সামান্য আলো তখনও ছিল। সেই আলোতেই গাটিয়া নদী পেরোতে হয় তাঁদের। হাতে ব্যাগ-পত্তর ইত্যাদি ছিল বলে কুইলি ওঁরাও সেগুলি এপার রেখে আগে বোনকে নিরাপদে নদী পার করিয়ে ওপারে বসিয়ে রেখে পরে ব্যাগ-পত্তর নিতে নিজে ফের নদীতে নামেন।
আর তখনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে যান তিনি। হয়তো পাথরে পা আটকে গিয়ে থাকতে পারে বা পিছলে একটু গভীর জলে গিয়ে পড়তে পারেন। তারপর অসম্ভব স্রোতের টান থাকায় উঠতে পারেননি। ভেসে গিয়েছেন। তাঁর ভেসে যাওয়ার এই খবর পেয়েই পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু রাতভর খুঁজেও পাওয়া যায় না কুইলি ওঁরাওকে।
আরও পড়ুন: Malbazar: সারারাত ভারী বৃষ্টি! ভাঙনে দিশাহারা এলাকাবাসী, নদীগর্ভে তলাচ্ছে জমিজমা, গ্রাম...
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে গাটিয়া নদীর অনেকটা নীচের দিকে কুইলি ওঁরাওয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। নাগরাকাটার পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠিয়েছে।