নিজস্ব প্রতিবেদন : মেদিনীপুরের 'প্রেস্টিজ' সভা থেকে তৃণমূলের 'সিন্ডিকেট' বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের সঙ্গে সিন্ডিকেট যোগ নিয়ে সরব বিরোধীরা। সেই 'সিন্ডিকেট' অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য এদিন মেদিনীপুর কলেজ মোড়ের সভাকেই বেছে নিলেন ডায়মন্ড হারবার সাংসদ। ব্যাখ্যা দিলেন 'সিন্ডিকেট' শব্দটার। সাফ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস কীসের 'সিন্ডিকেট' করে সেই বিষয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিষেকের 'সিন্ডিকেট' সংজ্ঞা
মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে শাসকদলের সভায় এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস মানে মানুষের সিন্ডিকেট। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সিন্ডিকেট করেছে। যার নাম বিজেপি ভারত ছাড়ো সিন্ডিকেট।" তৃণমূল যুবার সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন সাফ জানান, তৃণমূলের এই জনতার 'সিন্ডিকেট'-এর এখন একটাই লক্ষ্য। এই 'বিজেপি ভারত ছাড়ো সিন্ডিকেট'-ই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে উত্খাত করবে। কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাচ্যুত করবে বিজেপিকে।


১৬ জুলাই মেদিনীপুরের এই মাঠেই 'কৃষক সভা' করেছিল বিজেপি। সেই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অভিষেক দাবি করেন, মোদীর সেদিনের সভা ছিল নেহাতই লোক দেখানো। বিজেপি কোনওদিন কৃষকদের দুঃখ বোঝেনি। মোদীর সভায় ভিন রাজ্যের লোক আনা হয়েছিল। ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এসেছিল সভায় যোগ দিতে। উল্লেখ্য, সেদিন সভায় মোদীর বক্তৃতা চলাকালীন ভেঙে পড়ে প্যান্ডেল। লোহার কাঠামো ভেঙে পড়ে আহত হন কমপক্ষে ৮০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর চোট পান।


আরও পড়ুন, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন বিজেপি নেতা, অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল


এদিন সভায় বিজেপি হিন্দুত্ববাদকেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপি ধর্ম বিক্রি করে রাজনীতি করে। এরা ধর্মের নামে বিভাজন তৈরি করে। দুর্নীতি ছড়ায়। বলেন, 'হিন্দু ধর্ম অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়। আমার হিন্দুত্ব বিভাজন করতে শেখায় না।' হিন্দুদের জন্য আদৌ মোদী কোনও প্রকল্প করেছেন কিনা, এদিন সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিষেক। দেশে 'একনায়কতন্ত্র' চলছে বলে তোপ দাগেন ডায়মন্ডহারবার সাংসদ। সেই 'একনায়কতন্ত্র' ২০১৯-এ 'ফিনিশ' হয়ে যাবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।


আরও পড়ুন, ১৯-এর ব্রিগেড থেকেই হবে দিল্লি দখল : মমতা


প্রসঙ্গত, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনে ৪২টিতেই জেতার জন্য দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে টার্গেট বেঁধে দেন। এদিন সভাতেও সেই স্লোগান স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, "২০১৮-য় প্যান্ডেল ভেঙেছে, এবার ২০১৯-এ সরকার ভাঙবে। যাঁরা প্যান্ডেল সামলাতে পারে না, তারা নাকি বাংলা সামলাবে! আগামী দিনে ৪২-এ ৪২, ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ।"