নিজস্ব প্রতিবেদন- রাষ্ট্রপতি শাসন। ২১- এর নির্বাচনের আগে শেষমেষ এটাই কি বাংলার ভবিষ্যৎ! আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র হুঙ্কারের পর বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জল্পনা শুরু হল। এদিন বাবুল সুপ্রিয় সোজাসাপ্টা ভাষায় জানিয়ে দেন, যেভাবে চলছে তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট হবে বাংলায়। তিনি এদিন জানিয়েছেন, একুশের নির্বাচনের আগে শাসক দল যেভাবে রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে তাতে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া উপায় নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাবুল সুপ্রিয় এদিন বলেছেন, ''হিংস্র সরকারকে থামানোর পথ কিন্তু সংবিধানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট দিতে যেতে দেবেন না, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করবেন, তা হলে সংবিধানে এসব থামানোর ব্যবস্থা আছে। আগামী ছমাসে নিজেকে শুধরে নিন মমতা। এভাবে হিংসার রাজনীতি কিন্তু চলবে না। আমরা এই নিয়ে বারবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি। হিংসার রাজনীতি, খুনের রাজনীতি কিন্তু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।  প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''  এর আগে বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের পুলিসকে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে শাসক দল। তিনি পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টুইটারে সরব হয়েছিলেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও রাজ্যের সরকার ও পুলিসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন। 


আরও পড়ুন-  বন্ধ রবীন্দ্র সরোবর লেক, 'ছট পুজোর অধিকার' নিয়ে সরব এলাকাবাসী


বাবুলের ৩৫৬ ধারা জারির ইঙ্গিতের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ''হিম্মত থাকলে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেখাক বিজেপি। রোজ রোজ একই কথা বলার কোনও মানে হয় না। কখনো অমিত শাহ বলছেন, কখনো রাজ্যপাল বলছেন, কখনো আবার বাবুল সুপ্রিয় বলছেন। তাদের সব কথার জবাব দেবে বাংলার মানুষ।'' তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়ও বাবুলকে পাল্টা দিতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, ''ভোটের আগে এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখানো যাবে না। আমরা জানি কোন পরিস্থিতিতে ৩৫৬ ধারা লাগু হতে পারে। বাবুল হয়তো ভালো করে সংবিধান পড়েননি ''