নিজস্ব প্রতিবেদন : শিয়ালদার পুনরাবৃত্তি রানাঘাটে। প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট জায়গায় না থেমে, বাফারে ধাক্কা মারল ট্রেন। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল আপ বনগাঁ লোকাল। এই ঘটনায় রবিবারের সকালে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল রানাঘাট স্টেশনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় আপ বনগাঁ লোকালের চালক দাবি করেছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন এক রোগী তাঁর কেবিনে ঢুকে পড়েছিল। সেকারণেই তাঁর মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। সঠিক সময়ে তিনি ফাইনাল ব্রেক প্রয়োগ করতে পারেননি। আর এর জেরেই বাফারে গিয়ে ধাক্কা মারে ট্রেন।


চালকের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরাও। তাঁদের বয়ান অনুযায়ী, এদিন সকাল ৭টা বেজে ২৩ মিনিট নাগাদ রানাঘাট স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে আপ বনগাঁ লোকাল। সেইসময় ট্রেনের গতি ছিল খুবই ধীর (চালকের দাবি, ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার)। এমন সময়ই এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী প্ল্যাটফর্ম থেকে লাফ মেরে সোজা চালকের কেবিনে ঢুকে পড়েন। কেবিনে ঢুকেই পায়ের জুতো খুলে চালককে মারতে শুরু করেন তিনি। এরপরই ট্রেন যথাস্থানে না থেমে, সোজা গিয়ে বাফারে ধাক্কা মারে।


দুর্ঘটনার জেরে ট্রেনের প্রথম ২টি কামরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে বসার আসন। তবে রবিবারের সকালে যাত্রী কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। পূর্ব রেলের সিপিআরও রবি মহাপাত্র জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার জেরে কোনও যাত্রী আহত হননি। যদিও, ৪-৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর।


আরও পড়ুন, নারদ তদন্তে নয়া মোড়, সিবিআই রিপোর্টে গুরুতর অভিযোগ ম্যাথুর বিরুদ্ধে


এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রেলপুলিস। দুর্ঘটনার পিছনে চালকের কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তাঁর অসতর্কতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। পাশাপাশি চালক দাবি করেছেন, প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার। তদন্তে এই দাবিটিও খতিয়ে দেখা হবে। দেখুন, দুর্ঘটনার এক্সক্লুসিভ ছবি-