Bankura: E-wallet জালিয়াতি কাণ্ডে বড় সাফল্য, পুকুর থেকে উদ্ধার প্রচুর মোবাইল-সিম
আর কোনও জালিয়াতি চক্র সক্রিয় আছে কি না, তদন্তে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঁকুড়া ই-ওয়ালেট জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্ত এগানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে আসছে নতুন নতুন তথ্য়। এই ধরনের আর কোনও জালিয়াতি চক্র সক্রিয় আছে কিনা সে ব্যাপারের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বাঁকুড়ার আড়রা গ্রামের কাছে জেটয়া নামের একটি পুকুর থেকে বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করল পুলিস।
শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে ওই মোবাইল ফোনগুলো সম্পর্কে জানতে পারে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পুলিশ। অভিযানে গিয়ে ওই পুকুরের ডুবুরি নামায় পুলিস। উদ্ধার হয় ৮৮টি ফোন। ই-ওয়ালেট জালিয়াতরা যে ধরনের কিপ্যাড ফোন ব্যবহার করে, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি ফোনই সেই ধরনের। পুলিশের ধারণা, ওই এলাকায় আরও একটি ই-ওয়ালেট জালিয়াত চক্র সক্রিয় রয়েছে। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই জালিয়াতরা ফোনগুলি পুকুরের ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Khardah-এ শুটআউট, নিহত সক্রিয় তৃণমূল কর্মী, TMC-BJP তরজা তুঙ্গে
আরও পড়ুন: Weather Today: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে, বর্ষণের ইঙ্গিত দক্ষিণেও
এদিকে ই-ওয়ালেট জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে জয়পুর ও কোতুলপুরের পাশাপাশি বাঁকুড়া সদর থানার কুমিদ্যা গ্রামে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, কুমিদ্যা গ্রামের একটি স্টুডিওতে বসে ফটোশপের মাধ্যমে ভুয়ো আধারকার্ড তৈরি করত স্থানীয় ব্যবসায়ী বিভাস কর্মকার। গত কয়েকমাসে অভিযুক্ত সাড়ে চারশোরও বেশি ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করেছে। জাল আধার কার্ডগুলো অভিযুক্ত পাঠাত বেলিয়াডি গ্রামের মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার ডিলার মানস সাহানার কাছে। ভুয়ো সেই আধার কার্ডের ভিত্তিতে মানস সাহানা একের পর এক সিম কার্ড আক্টিভ করে পাঠিয়ে দিত ই-ওয়ালেট জালিয়াতি কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড অভিষেক মণ্ডলের কাছে। ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির অন্যতম নায়ক বিভাস কর্মকারকে শনিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।