নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার সকালের পরই প্রতিবেশীদের আনাগোনা, ক্যামেরা আর সাংবাদিকদের ভিড়ে ছেয়ে গিয়েছিল ডানকুনির খড়িয়ালে বাড়িটা। উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে কোন্নগর নবগ্রাম হীরালাল পাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী বর্ণালী ঘোষ। এরপর ডাক্তার হতে চায় মেয়ে, সেইমতো শুরু হয়েছে প্রস্তুতিও। রেজাল্টের দিনও ছিল বর্ণালীর জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষা। সবমিলিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না তাঁর অধ্যাবসায় কোথাও খামতি নেই এতটুকু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত বদল, শেষ গরমের ছুটি! জুনের মাঝামাঝিতেই খুলছে স্কুল


কিন্তু এরপর? একদিকে সাফল্যের আনন্দ, অন্যদিকে উচ্চশিক্ষায় খরচের চিন্তা। স্বপ্নের উড়ানে বাধ সাধছিল আর্থিক প্রতিকূলতা। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের মাঝেও এই প্রশ্নটাই বড় ভাবাচ্ছিল বর্ণালীর পরিবারকে। বাবা খগেন ঘোষের একমাত্র সম্বল বলতে নবগ্রাম রেলবাজারে ছোট একটা সব্জির দোকান, মা অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী। তবে শেষপর্যন্ত সাফল্যের কাছে হার মানল দারিদ্রের অন্ধকারও। বর্ণালীর উচ্চশিক্ষার সমস্ত ব্যয়ভার নিল নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। 



ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরই শিরোনামে আসে বর্ণালীর নাম। এরপরই তাঁর বাড়িতে যান উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। বিধায়কই মেধাবী বর্ণালীর উচ্চশিক্ষায় অর্থের বাধার কথা বলেন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানকে। এরপর বর্ণালীর পড়াশোনার খরচের ভার নেওয়ার সিন্ধান্ত নেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেট সচিব মানস রায় বর্ণালীর হাতে অঙ্গীকার পত্র তুলে দেন। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি বর্ণালী আর তার পরিবার। স্কুলের মুখও উজ্জ্বল করেছে মেয়ে, তাই ওর সাফল্যের আলোয় ঝলমল করছে মফস্বলের হীরালাল পাল বালিকা বিদ্যালয়ও। আর স্কুলের গন্ডি পেরনোর আগে জুনিয়রদের বার্তা দিতেও ভোলেনি বর্ণালী। জানাল, "পরিশ্রমের বিকল্প নেই, মন দিয়ে পড়লে ফল পাবেই" ।