Mamata Banerjee: ভারতসেরা বঙ্গ! কেন্দ্র থেকে বাংলার জন্য আসা কোন বিরল সম্মানের কথা ঘোষণা মমতার?
Murshidabad: নানা ক্ষেত্রে বাংলা কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তোলে। আবার নানা ক্ষেত্রে কেন্দ্রও বাংলার তীব্র সমালোচনা করে। হলে কী হবে, এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই কেন্দ্রের হাত থেকে বাংলা পেয়ে গেল এক বিরল সম্মান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নানা ক্ষেত্রে বাংলা কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তোলে। আবার নানা ক্ষেত্রে কেন্দ্রও বাংলার তীব্র সমালোচনা করে। কিন্তু হলে কী হবে, এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই কেন্দ্রের হাত থেকে বাংলা পেয়ে গেল বিরল এক সম্মান। এই বাংলারই এক গ্রাম নির্বাচিত হল ভারতসেরা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে! এ কথা ঘোষণা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Hilsa Fish: মাছ-বাঙালি! শুক্রবার সকাল থেকেই বাজারে ইলিশের বন্যা?
আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দের সঙ্গে কেন্দ্রের একটি ঘোষণার কথা শেয়ার করেছেন তাঁর অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরী মন্দির যেখানে অবস্থিত সেই গ্রামকে 'বেস্ট ট্যুরিজম ভিলেজ অফ ইন্ডিয়া' হিসেবে ঘোষণা করেছে!
২০২৩ সালের 'বেস্ট ট্যুরিজম ভিলেজ কম্পিটিশনে'র ফলাফল এটি। ৩১টি রাজ্য থেকে আসা ৭৯৫টি আবেদনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে কিরীটেশ্বরী। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এজন্য ওই গ্রামের সমস্ত বাসিন্দাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন!
কিরীটেশ্বরী মন্দির শক্তিপীঠগুলির অন্যতম। এটি মুর্শিদাবাদের লালবাগ কোর্ট রোড রেলওয়ে স্টেশনের ৩ মাইল দূরে 'কিরীটকণা' (বা 'কিরীটকোণা') গ্রামে অবস্থিত। রাঢ় বাংলার প্রাচীন পীঠস্থানগুলির মধ্যে কিরীটকণা অন্যতম। যদিও বর্তমান মন্দিরটি বেশি পুরানো নয়। জানা যায়, লালগোলার রাজা ভগবান রায় মুঘল সম্রাট আকবরের থেকে এই মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। দেবীর প্রাচীন মন্দিরটি ভেঙে পড়ে। তার পরে ১৯ শতকে লালগোলার রাজা দর্পনারায়ণ রায় নতুন মন্দির নির্মাণ করান। এই দর্পনারায়ণ ছিলেন ভগবান রায়েরই বংশধর।
আরও পড়ুন: ঝড়ের সংকেত! ফের কি ভয়াবহ বৃষ্টিতে ভাসবে রাজ্য? উপকূলে সতর্কতা...
পৌষ মাসের প্রতি মঙ্গলবার এখানে দেবী কিরীটেশ্বরীর মেলা বসে। মন্দিরে অবশ্য দেবীর কোনও প্রতিমূর্তি নেই, একটি উঁচু পাথরের উপর বেদী আছে; এই বেদীর উপর আরেকটি ছোট বেদী আছে যা দেবীর কিরীট বলে পূজা করা হয়। এই মন্দির বাংলার আবহমান হিন্দু-মুসলিম ঐক্য ও সহাবস্থানের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত।