নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের পর বাংলার পরিস্থিতি অশান্ত। অসমে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার অসমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ধনখড় বলেন, ২ মে-র পর রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন হিংসা কবলিত মানুষ। এর পেছনে একটাই কারণ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব। ভেবেছিলাম এনিয়ে সরকারের বোধদয় হবে। তেমন কিছুই হয়নি। রাজ্যের প্রথম সেবক হিসেবে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে রাজ্যে অশান্ত এলাকায় যাওয়ার। আমার প্রথম কাজ সংবিধানকে রক্ষা করা। তার পরে বাংলার মানুষকে হিংসা থেকে বাঁচানো।


আরও পড়ুন-রেলকর্মীদের Frontline Worker হিসেবে গণ্য করে দ্রুত টিকা দেওয়া হোক, রাজ্যকে চিঠি রেলের  
 
রাজ্যপালের অভিযোগের পাল্টা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশখর রায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল(Jagdeep Dhankhar) সমাজ বিরোধীদের উস্কানি দিতে রাস্তায় নেমেছেন। দেখা যাচ্ছে, যখন ৯ মে-র পরে বাংলার হিংসা দমন করা গিয়েছে এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকায় কলকাতা হাইকোর্টেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তখন রাজভবনে বসে থাকা দিল্লির এজেন্টটি শীতলকুচির মতো জায়গায় গিয়ে হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন। ওখানে যে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছেন তাঁদের পারিবারের সঙ্গে উনি দেখা করেননি। এমনকি কোচবিহারে বিজেপি গুন্ডাদের আক্রমণে যে ২ তৃণমূল কর্মী খুন হন তাদের পরিবারের সঙ্গেও উনি দেখা করেননি। একজন কুখ্যাত সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওসিকে ধমকাচ্ছেন। উনি রাজ্যপাল পদের অযোগ্য। ওঁকে বরখাস্ত করা উচিত।


আরও পড়ুন- করোনায় ম্লান ঈদের আনন্দ, ৫৫৫ বছরের শাহী মসজিদে নমাজ পাঠে কঠোর বিধি


এদিকে, সুখেন্দু শেখরের(Sukhendu Sekhar Roy) মন্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যপাল যেদিন থেকে রাজ্যের প্রকৃত তথ্য জানতে চেয়েছেন সেদিন থেকেই তাঁকে সরানোর দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।  রাজ্যপাল যখন সরেজমিনে কোচবিহারের পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছেন তখন রাজ্যপালকে আক্রমণ করা হয়েছে। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যখন রাজ্যপাল ছিলেন তখন তাঁর কাছে গিয়ে রাজ্যের হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। এখন তৃণমূল বিরোধীরা যখন আক্রান্ত হচ্ছেন, উদ্বাস্তু হয়ে অন্য জায়গায় থাকতে হচ্ছে তখন রাজ্যপাল গেলে তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কোনও সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপরে আস্থা নেই তৃণমূল কংগ্রেসের।