নিজস্ব প্রতিবেদন : ত্রিকোণ টানাপোড়েনে খুন সুতপা? বহরমপুরে কলেজছাত্রীকে নৃশংস খুনের ঘটনায় উঠে আসছে সেই প্রশ্ন। সূত্রের খবর, পুলিসি জেরায় ধৃত প্রেমিক দাবি করেছে যে, অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছিল সুতপা। সেই যুবকের সঙ্গে সিনেমা দেখতেও যায় সুতপা। আর সেটা দেখার পর-ই মাথা ঠিক রাখতে পারেনি সে। প্রসঙ্গত, তদন্তে আগেই সামনে এসেছে যে, ওই এলাকার 'সুন্দরী'দের মধ্যে অন্যতম ছিল সুতপা। বছর পাঁচেক ধরে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু গত এক বছর ধরে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। সুশান্তকে এড়িয়ে যেতে থাকে সুতপা। সুশান্তকে 'অপছন্দ' বলে জানায় সুতপা। শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। এখন সুতপার জীবনে দ্বিতীয় কারোও আগমন-ই কি তাহলে মানতে পারেনি সুশান্ত? আর তাই সেই আক্রোশ থেকেই সুতপাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে সে? উঠে আসছে এমন সম্ভাবনার কথাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, সেদিন সুতপাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের পর ৩০০ মিটার গলি পায়ে হেঁটে যায় সুশান্ত। তারপর মূল রাস্তায় উঠে টোটো গাড়ি ধরে। টোটো ধরে সুশান্ত সম্ভবত বহরমপুরের হোটেলে যায়। সেখানে গিয়ে পোশাক বদলায়। তারপর বাস ধরে ওমরপুর মোড়ে আসে। ওমরপুর মোড়ে গিয়ে বাস পরিবর্তন করে। সেখান থেকে বাসে করে মোড়গ্রামে আসে। তারপর ট্যাক্সি ধরে পালানোর পথেই পাকড়াও হয় সুশান্ত। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সামসেরগঞ্জ থানা এলাকায় নাকা চেকিং চলছিল। তখনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। জানা গিয়েছে, পুলিস গ্রেফতার করার পর তাদের কাছে বার বার সুতপার-ই নাকি খোঁজ নিচ্ছিল সুশান্ত। সুতপা বেঁচে আছে? না তার মৃত্যু হয়েছে? বার বার নিশ্চিত হয়ে চাইছিল সুশান্ত।


উল্লেখ্য, সুশান্তর ভাই জানিয়েছেন, "প্রেমে প্রত্যাখ্যানের পর থেকেই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিল দাদা। বাড়িতে আসত না। বাড়িতে একমাস আগে এসেছিল। আগে বেশ হাসি মশকরা করত। কিন্তু মাস দুয়েক ধরে দাদা কোনও কথা শুনত না।" 


আরও পড়ুন, Nadia Murder: মহিলাঘটিত কারণেই নৃশংস খুন পলাশিপাড়ার বাবা, মা, মেয়েকে? গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত


ঠান্ডা মাথায় ছক কষে খুনের আগে রেকি! সুতপার গতিবিধি সুশান্তকে জানিয়েছিল কোনও বান্ধবী?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)