নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়েতে বাইকের আবদার করেছিল পাত্র। যেমন তেমন বাইক হলে হবে না। বেশ দামী বাইক হতে হবে। সেই আবদার না মিটতেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের মারধরের অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন ৩ জন। আহতরা সকলে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মালাবাজারের ওদলবাড়ি হিন্দি স্কুল পাড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জানা গিয়েছে, গত ১৪ মার্চ মালবাজারের চ্যাংমাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মহম্মদ বোড্ডাওয়ের মেয়ে মনোরা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় ওদলাবাড়ি হিন্দি স্কুল পাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ হোসেনের ছেলে রপিকুল রহমানের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মেয়ের উপর শুরু হয় অত্যাচার। দেনা-পাওনা নিয়ে দুই বাড়ির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।


আরও পড়ুন, এক বিছানায় ঠাঁই ৩ মা ও ৩ সন্তানের! চাপাচাপিতে মৃত্যু এক সদ্যোজাতের


মহম্মদ বোড্ডাওয়ের অভিযোগ, বিয়েতে খাট, আলমারি, আলনা, ডাইনিং টেবিল, সোনাদানা সঙ্গে দামি বাইক পণ হিসেবে চায় ছেলের বাড়ি। তাঁরা বাইক ছাড়া বাকি সব দাবি-ই মিটিয়ে দিয়েছিলেন। বাকি ছিল শুধু বাইকটা। আর সেইজন্য নিত্য তাঁদের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে গঞ্জনা শুনতে হচ্ছিল। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছিল মনোরাকে।


আরও পড়ুন, খেলতে খেলতে আম পেড়েছিল শিশুকন্যা, বুকে পা তুলে দিয়ে পেটাল প্রতিবেশী মহিলা!


এরপরই শুক্রবার তাঁরা বাইক কিনে দেওয়ার জন্য মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। জামাইকে হিরো হন্ডা কোম্পানির বাইক কিনে দেওয়ার কথা জানান তিনি। কিন্তু জামাই দাবি করেন আরও দামী বাইকের। সেই দাবি না মিটতেই তাঁদের উপর চড়াও হয় সে। অভিযোগ, মারের চোটে মাথা ফেটে যায় মনোরার কাকার। আহত হন আরও কয়েকজন।


আরও পড়ুন,মত্ত দশায় নদীর পাড়ে বসে সেলফি! পিছলে পড়ে তলিয়ে গেল স্কুলপড়ুয়া কিশোর


এই ঘটনায় মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মনোরার বাপের বাড়ির লোকেরা। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে রপিকুলের দাবি, বিয়েতে মনোরার পরিবারের তরফে কিছুই দেওয়া হয়নি। উল্টে বিয়ের আগেই তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। তবুও তারপর সে নাকি বিয়েতে রাজি হয়েছিল! এমনকি গতকালও মনোরার বাপের বাড়ির লোকেরা তাদের বাড়িতে এসে তাদেরই মারধর করেন।