`মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ` না বলায় অধ্যাপককে মার, বুদ্ধিজীবীরা কোথায়? প্রশ্ন বিজেপির
অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে মারধরের ভিডিয়োটি টুইট করেছে বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ' না বলায় নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপককে মারধরের ঘটনা জাতীয়স্তরে তুলে ধরল বিজেপি। আর ঘটনায় বুদ্ধিজীবীদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে মারধরের ভিডিয়োটি টুইট করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য,'মমতা ব্যানার্জির জয় বলতে অস্বীকার করায় অধ্যাপক ও ছাত্রীদের মারধর করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। এব্যাপারে কি ব্যাখ্যা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এমন বিশৃঙ্খলা ও হিংসা দেখতে দেখতে বিরক্তি বাংলার মানুষ'।
বুদ্ধিজীবীদের বিঁধে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, 'তৃণমূলের জমানায় শিক্ষক মার খাচ্ছে, ডাক্তার মার খাচ্ছে, সাধারণ মানুষও মার খাচ্ছে। এখন বুদ্ধিজীবীরা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিন। বুদ্ধিজীবীরা কিছু করবেন না, কারণ তাঁরা মমতার কেনা গোলাম'।
অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কৌশিক সেন। সে কারণে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অভিনেতার। সে নিয়ে সায়ন্তনের কটাক্ষ, কে কৌশিক সেন? উনি নাটক করেন। তাই নাটক করে নিজের দর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এদিন অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার কথা শুনে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। নিগৃহীত অধ্যাপক বলে, "ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি কোনও চিন্তা করবেন না। দোষী দুই ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, এমএ ছাত্রীদের সঙ্গে ডিগ্রী কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের অশান্তিতে বুধবার অশান্তি ছড়ায় হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে। 'তৃণমূল জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' জিন্দাবাদ স্লোগান না দেওয়ায় ছাত্রীদের মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে কলেজের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। এমনকি কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে টিএমসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।
আরও পড়ুন- "প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তার অভাববোধ করেছি, ২০১১ সালের পর ভেবেছিলাম চাকরি ছেড়ে দেব''