"প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তার অভাববোধ করেছি, ২০১১ সালের পর ভেবেছিলাম চাকরি ছেড়ে দেব''
জি২৪ঘণ্টার প্রতিনিধির সাক্ষাত্কারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।
!["প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তার অভাববোধ করেছি, ২০১১ সালের পর ভেবেছিলাম চাকরি ছেড়ে দেব'' "প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তার অভাববোধ করেছি, ২০১১ সালের পর ভেবেছিলাম চাকরি ছেড়ে দেব''](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/07/25/202016-konnagar-subrata.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: “২০১১ সালের পর থেকেই রাজ্যের যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমাদের কলেজও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা কিল খেয়ে কিল হজম করেছি। প্রতি মুহূর্তে ভেবেছি অভিযোগ জানাব, কিন্তু ভয়ে পারিনি। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছি একাধিকবার।” জি২৪ঘণ্টার প্রতিনিধির সাক্ষাত্কারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “২০১১ সালের পর থেকে প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তার অভাববোধ করেছি। চাকরি ছেড়ে দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু পরিবারের কথা মাথায় রেখে চাকরি ছাড়তে পারিনি। এখন এই ঘটনার পর আমি চাকরি ছাড়ব না। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকব।” তিনি আরও বলেন, “আমি এখন অপেক্ষা করছি। আমি দেখতে চাই, আজ অভিযুক্ত দুজন বেল পেয়ে যায় কিনা। যদি বেল পেয়ে যায়. তাহলে বুঝতে হবে কথা দাম নেই।”
উল্লেখ্য, এদিনই নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার বিবরণ শোনেন তিনি। অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আপনার পাশে আছি। আপনি কোনও চিন্তা করবেন না। দোষী দুই ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়েছে।"
স্বামী অনুপমকে খুন করছে স্ত্রী মনুয়া ও প্রেমিক অজিতই, জানিয়ে দিল আদালত
প্রসঙ্গত, এমএ ছাত্রীদের সঙ্গে ডিগ্রী কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের অশান্তিতে বুধবার অশান্তি ছড়ায় হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে। 'তৃণমূল জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' জিন্দাবাদ স্লোগান না দেওয়ায় ছাত্রীদের মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে কলেজের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। এমনকি কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে টিএমসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।
জানা গিয়েছে, গতকাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এমএ ফাইনাল বর্ষের ছাত্রীরা বেঞ্চে উঠে সেলফি তুলছিলেন। তাঁদেরকে বেঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন টিএমসিপি সমর্থকরা। এই নিয়েই দু-পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর অধ্যাপকদের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো বিবাদ মিটমাট হয়ে গেলেও, স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। এক ছাত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, কলেজ গেটে তালা মেরে আটকে রাখা হয় এমএ ছাত্রীদের।