নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেহশখালির হাটগাছিতে বিজেপি-তৃণমূলে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কায়ুম মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বিজেপির দাবি, তাদেরও ৩জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস বিজেপি কর্মীদের দেহ লোপাটের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করলেন সায়ন্তন বসু। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, তৃণমূলের শান্তিপ্রিয় মিছিল চলছিল। চড়াও হয়েছিল বিজেপি।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর ২৪ পরগনার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেছেন,''সন্দেশখালির হাটগাছিতে কর্মিসভা হচ্ছিল। ওই বুথে আমরা জিতেছি। কীভাবে ভোট আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়েই সভা চলছিল। সেইসময় চড়াও হয় ৭-৮ জন হার্মাদের দল। কায়ুম মোল্লার মাথায় গুলি করে। টেনে ঘর থেকে বের করে কোপায় তারা। ওরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। সিপিএমের হার্মাদগুলো এতদিন লুকিয়ে ছিল। এখন তাদের মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে দিয়েছে''।



জ্যোতিপ্রিয়র অভিযোগ খারিজ করে বসিরহাটে পরাজিত উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপির জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ জি ২৪ ঘণ্টায় দাবি করেছেন, ''তিন জন বিজেপি সমর্থকের দেহ পাঁকের মধ্যে থেকে তোলা হয়েছে। পাঁচজনকে মেরে ফেলেছে। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শাহাজাহান শেখ বাহিনী নিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ করছে। ফোনে বলেছে, দাদা বাঁচাও। এসপিকে ফোন করি। তিনি জানান, ওসি স্পটে চলে গিয়েছে। গুলি চলেছে আমাদের কর্মীরা মারা গিয়েছে। পুলিস, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেই পরিস্থিতি। শেখ শাহাজাহান গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। ওখানে সমস্ত বুথে আমাদের লিড রয়েছে''। 


বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন,''বিজেপি কর্মী তপন মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলের মৃত্যুর খবর এসেছে। দেহ লোপাট করে ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিস। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপির পতাকা খুলছিল, তখন বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। নিজেদের গুলির মাঝেই মৃত্যু হয়েছে কায়ুম মোল্লার। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা হচ্ছিল। আমাদের তিনজন সাংসদও গিয়েছিলেন''।


আরও পড়ুন- 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দেওয়ায় বিজেপি কর্মীকে রাতভর পিটিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ