নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার হঠাৎ করেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন  ড. সুকান্ত মজুমদার। মেয়াদ ফুরোনোর আগেই গুরুদায়িত্ব থেকে রাতারাতি অব্যহতি দিয়েছে দল।দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং নতুন পদ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''এখানে সাংসদ রয়েছি। সাধারণ কর্মী হিসেবে থাকব। যারা আমাকে সহ-সভাপতি করেছেন তারাই ঠিক করবেন দেশের কোথায় কী কাজে লাগাবেন। এতদিন সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম, রাজ্য জুড়ে ঘুরে কাজ করেছি।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবারই দিলীপ ঘোষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সদ্য বিজেপি-ত্যাগী বাবুল সুপ্রিয়। সেই সঙ্গে খোঁচা দিয়ে বলেন, ''বিজেপির সংগঠনে কে আসবে আর কে যাবে তা ঠিক করবে তার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিলীপদা বহুবছর বাংলার জন্য অনেক খেটেছেন। এখন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবে ভালো কাজ করুন, সুখে থাকুন। আর সুকান্ত মজুমদারকে আমার শুভেচ্ছা জানাব। তবে মজা করে বলতে পারি, দিলীপদা সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি' লিখেছেন। এটা লেখার কী মানে বুঝলাম না। হয়তো আমার পাঠানো বর্ণ পরিচয়টা ওঁর কাজে লাগবে।''


আরও পড়ুন, Kolkata: বাংলায় প্রথমবার ফুসফুস প্রতিস্থাপন; সুরাট থেকে এল অঙ্গ, পাচ্ছেন কলকাতার রোগী


এর জবাবেই দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ''আমি জানি না উনি কার লেখা পড়েছেন। আমার লেখা পড়ে দেখুক, আমি কি লিখেছি। সর্বভারতীয় সহ সভাপতি লেখা আছে।'' বাবুলের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের একটা চাপা সংঘাত ছিল বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। মেয়াদের আগেই সরে যেতে হয়েছে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে। তাই বাবুলের চলে যাওয়া ও দিলীপের এই পদ পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্কও দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 


তবে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ''প্রথমবার আমরা লড়েছিলাম বাংলা জয়ের জন্য। সম্পূর্ণ সফল হয়নি। পরবর্তী লড়াইয়ের আগে স্ট্যাটেজি বদলানো হবে।'' 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)