Kolkata: বাংলায় প্রথমবার ফুসফুস প্রতিস্থাপন; সুরাট থেকে এল অঙ্গ, পাচ্ছেন কলকাতার রোগী
যে রোগীর দেহে ওই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হবে তিনি সম্প্রতি করোনা মুক্ত হয়েছেন। টানা ১০৩ দিন রয়েছেন একমো সাপোর্টে
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে এই প্রথম। মরণোত্তর ফুসফুস দান করেছেন সুরাটের এক রোগী। সেই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে কলকাতার এক রোগীর দেহে।
সোমবার রাত দশটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে ওই ফুসফুস। গ্রিন করিডোর করে সেই ফুসফুস পৌঁছে যায় মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আগে থেকেই ওই প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ করে রাখা হয় হাসপাতালে। সুরাটের যে ব্যক্তির ফুসফুস আনা হয়েছে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ব্রেন স্ট্রোকে। বয়স ৫২ বছর। আর যাঁর দেহে ওই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে তাঁর বয়স ছেচল্লিশ বছর।
আরও পড়ুন- BJP: "দায় চাপাতেই পারেন, আমি আমার কাজ করেছি", জানালেন দিলীপ ঘোষ
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য সময় লাগতে পারে ৬-৮ ঘণ্টা। যে রোগীর দেহে ওই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হবে তিনি সম্প্রতি করোনা মুক্ত হয়েছেন। টানা ১০৩ দিন রয়েছেন একমো সাপোর্টে। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এই প্রতিস্থাপন সফল হল কিনা তা জানতে অন্তত ৮ ঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে আশাবাদী চিকিত্সকেরা।
চিকিত্সকদের বক্তব্য, এই ফুসফুস প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বেশকিছু জটিল বিষয় রয়েছে। কারণ অন্যান্য অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মধ্যে ফুসফুস প্রতিস্থাপনকে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি রোগী সম্প্রতি করোনামুক্ত হয়েছেন। টানা একশো দিনেরও বেশি একমো সাপোর্টেও রয়েছেন।
আরও পড়ুন- Babul Supriyo: নতুন পদে দিলীপকে শুভেচ্ছা জানিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বাবুল
রূপায়ন রায় নামে কলকাতার এক ব্যক্তির হার্ট প্রতিস্থাপন হয়েছিল ২০১৬ সালে। এনিয়ে তিনি বলেন, আমার হার্ট যখন প্রতিস্থাপন হয় তখন রাজ্যে এরকম প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো ছিল না। আজ আমাদের আনন্দের দিন। কারণ এতদিনে এখানে ফুসফুস প্রতিস্থাপন হচ্ছে। দেশের খুব বেশি রাজ্যে এরকম প্রতিস্থাপন হয় না। ফলে রাজ্যের জন্য এটা আমাদের গর্বের বিষয়। করোনায় অনেকেরই ফুসফুল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই রাজ্যে এরকম একটি প্রতিস্থাপন যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)