নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের লাভপুরে বিজেপি নেতার মেয়ের নিখোঁজকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। মেয়ের অপহরণের নাটক সাজানোর অভিযোগে গ্রেফতার বাবা সুপ্রভাত বটব্যল। রবিবার নিখোঁজ প্রথমা বটব্যালকে খুঁজে বার করার পর তাঁরই বাবা সুপ্রভাতবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিস। অতিরিক্ত পুলিস সুপার তন্ময় সরকার জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ফয়দার জন্য সাজানো হয়েছে এই অপহরণের ঘটনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থেকে উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ প্রথমা বটব্যালকে। সঙ্গে ধরা পড়ে দুই যুবক রাজু সর্দার ও দীপঙ্কর মণ্ডল। দু'জনের বাড়িই দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি থানা এলাকায়। পুলিসের দাবি, তথাকথিত অপহরণকারীদের সঙ্গে আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে সুপ্রভাতবাবুকে। এর পরই সুপ্রভাতবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিস। 


'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' স্লোগানে মুখর, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রেল অবরোধ অশোকনগরে


গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাভপুরে নিজের বাড়ি থেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রথমা বটব্যালকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ঘটনা সাম্প্রদায়িক রং দিতে শুরু করে কিছু দুষ্কৃতী। গতকাল স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে তুলকালাম বাঁধে। তাঁকে বাধা দেন স্থানীয়দের একাংশ। ইট মেরে তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। জনতার রোষ থেকে বাঁচতে থানায় আশ্রয় নিতে হয় বিধায়ককে। 


পুলিসের দাবি, দলে নিজের দর বাড়াতে পরিকল্পনা করে মেয়ের অপহরণের নাটক ফাঁদের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুপ্রভাতবাবু। তদন্তকারীরা বলছেন, বাড়ি থেকে একটা প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে গেল, অথচ তেমন বাধা এল না, এটা সন্দেহজনক। সেখান থেকেই সুপ্রভাতবাবুর গতিবিধি খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিস।