অয়ন ঘোষাল: দিলীপ আছেন দিলীপেই, ফের বিস্ফোরক বিজেপি নেতা। শুভেন্দু-সুকান্তকে কার্যত নিশানা দিলীপ ঘোষের। রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবিকে উস্কে দিলেন দিলীপ? লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এখন জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে। মেদিনীপুরে লড়তে দেওয়া হয়নি, রেজাল্ট দেখা গিয়েছে। এত সাংসদ বিধায়ক ছিল, তাহলে ভোট কমল কেন? দেবশ্রী চৌধুরীর আসন বদল নিয়েও নিশানা দিলীপের। দেবশ্রী ওখানে জিতত না? এর পিছনে কি আছে? এসব কেন করা হয়েছে এগুলো ভাবতে হবে। পার্টির প্রতিষ্ঠিত নেতাদের হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল? সুকান্ত মজুমদারের নাম না করে কটাক্ষ দিলীপের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Assembly By Election: লোকসভা ভোটের ফলে এবার উপনির্বাচন রাজ্যের ৯ বিধানসভা কেন্দ্রে!


সুকান্তকে নিশানা করে দিলীপের কটাক্ষ, 'আক্রমণ কার পারমিশন নিয়ে হয়? কর্মীরা কান্নাকাটি করে বাড়ি ছাড়া হয়। তখন কি ফর্মালিটি করব? নাকি মানবতার ডাকে সাড়া দেব? ওরা তো সুন্দরবন থেকে এখানে এসে আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। প্রোগ্রাম করার জন্য পারমিশন নিতে হয়। মানুষের সঙ্গে দেখা করার জন্য কারুর পারমিশন নিতে হয় না। আমি চিরদিন কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু পার্টির প্রোগ্রামে আমি ৪ বছর ধরে যাই না। আমাকে ডাকেও না। আমার মতামতও নেয় না। আমি পার্টির কর্মীদের সঙ্গে থাকি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। আমি যতদিন রাজনীতি করব আমি এরকমই থাকব। রাজনীতি ছেড়ে দিলে অন্যভাবে মানুষের পাশে থাকব। মানুষের কাছে যেতে কেউ কাউকে আটকাতে পারে না।'


মেদিনীপুরে লড়তে দেওয়া হয়নি বিজেপি নেতাকে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'পর্যালোচনা হওয়া উচিৎ। কর্মীরা বলবেন কি সমস্যা হয়েছে এখানে। আমি আমার লোকসভায় (মেদিনীপুর) সময় দিয়েছি। তারপর কিছুদিন অন্য একটি রাজ্য (আন্দামান) সময় দিয়েছি। গত ১ বছর ধরে সম্পূর্ণ সময় মেদিনীপুরে দিয়েছিলাম। টাকা- পয়সা, সময় সব দিয়েছি। আমাকে লড়তে দেওয়া হয়নি। তার রেজাল্ট সবাই দেখে নিয়েছে।' 


এমনকী "১০০ বিধানসভায় লিড, ধাক্কা মারলেই ১৩০, হাওয়া ঘুরিয়ে দেব।' সুকান্তর এই বক্তব্যে কার্যত খারিজ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনে আমরা এগোই। বিধানসভায় পিছিয়ে থাকি। ১৯ এর লোকসভায় আমরা ৪১ শতাংশ পেয়েছিলাম। ২১ এর বিধানসভায় সেটা নেমে ৩৮ শতাংশ হয়। এবার লোকসভাতে ৪১ শতাংশ তো পার হওয়া উচিত ছিল। সেটা কমে গেল তো। আবার ৩৮ এ ফিরে এলো। এটাই তো পর্যালোচনার বিষয়। ভোট কমল কেন? এতো নেতা এসে গেছে। বলছে সংগঠন বেড়েছে। এবার তো প্রধানমন্ত্রী সব জায়গায় গেছেন। এতো সাংসদ বিধায়ক ছিল। তাহলে ভোট কমল কেন? ভাবার দরকার আছে।' 


দেবশ্রী চৌধুরীর আসন বদল নিয়ে বিজেপি নেতার মত, 'কি সব যুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমি নাকি মেদিনীপুরে দাঁড়ালে হেরে যাব। কারণ ওখানে নাকি কুরমিরা আমাদের বিরুদ্ধে। যেখানে কুরমি ভোট বেশি সেই পুরুলিয়া আসনে বিজেপি জিতেছে। আমার বিরুদ্ধে কুরমিদের খ্যপানো হয়েছিল। আমাকে সরানোর জন্য এটা করা হয়েছিল। দেবশ্রী যেখানে কাজ করেছে বা মন্ত্রী ছিল সেখানে আমরা এবারও জিতেছি। একজন কাউন্সিলর ওখানে লোকসভা জিতেছে। তাকে কেউ চিনতই না। একটা গ্রামীণ পুরসভার নেতা। তাহলে দেবশ্রী ওখানে জিতত না? এর পিছনে কি আছে? এসব কেন করা হয়েছে এগুলো ভাবতে হবে। কিছু তো একটা ব্যাপার আছে। নাহলে যারা পার্টির প্রতিষ্ঠিত নেতা তাদের কি হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল? লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এতো দেখছি জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।'



আরও পড়ুন, Bengal Weather: বঙ্গে বর্ষা ঢুকতে দেরি! জেলা জুড়ে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)