নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত তারকেশ্বরের দত্তপুর এলাকা। ঘটনয় উভয় পক্ষেরই আহত চারজন। আহতদের তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও একজনের অবস্থা গুরতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে এই ঘটনায় আরও একবার উস্কে দিল গেরুয়া দলের গোষ্ঠীদ্বন্দের বিষয়। কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যই দায়ী বলে দাবি বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি গণেশ চক্রবর্তীর।


গতকাল আরামবাগে বিজেপি দলীয় বৈঠকে কর্মীরা অভিযোগ জানাতে গেলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ''আপনারা বিজেপি করছেন কেন তৃণমূলে চলে যান?'' আর এই মন্তব্যের কারণেই দত্তপুরে বিজেপি কর্মীর উপর তৃণমূলের আক্রমণ বলে দাবি বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তীর। 


আরও পড়ুন, করোনা কেড়েছে কাছের মানুষকে, স্ত্রীর স্মরণে বিনে পয়সার হাট বসালেন শিলিগুড়ির গৌতম ঘোষ


তিনি আরও অভিযোগ করেন বেশ কিছু দিন ধরে এলাকা শান্ত ছিল কিন্তু রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের কারণেই আবারও অশান্ত হয়ে উঠছে এলাকা।


জানা গেছে রবিবার সকালে তারকেশ্বরের দত্তপুর একালায় বিজেপি কর্মী কর্মী বিশ্বজিৎ কর্মকারের বাড়ি ঘেরা নিয়ে বচসা শুরু হয় ওই এলাকার স্কুল শিক্ষক কাঞ্চন চক্রবর্তীর।  এরপরই দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়।বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ কর্মকারের অভিযোগ তাকে এবং তারা বাবা মাকে বেধরক মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা।ঘটনায় গুরতর আহত হন বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ এবং তার বাবা হরিপদ কর্মকার।


অন্যদিকে তৃণমূলের বুথ সভাপতি পলাশ লোহার তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে অশান্তি থামাতে গেলে উল্টে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে বিজেপি কর্মীরা। তাতে দুজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়।বিজেপির কোনো কর্মীকে মারধরের ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত নয়।