নিজস্ব প্রতিবেদন:   ‘সামনে পুলিশ আসুক আর তৃণমূল আসুক লাঠি মারুন। মাথা ফাটান। ’ বর্ধমানের দলীয় সভায় হুঙ্কার বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায় ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের পার্বতী মাঠে দলীয় সভায় যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার আগে  মঞ্চে বক্তব্য রাখেন জেলা যুব মোর্চা সভাপতি শ্যামল রায়। সেখানেই  রাজ্য সরকার ও পুলিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। শ্যামল রায় বলেন, ‘লড়াই করুন।  সামনে পুলিশ আসুক আর তৃণমূল আসুক লাঠি মারুন। মাথা ফাটান।  বোম মারুন। পুলিসকে বলুন চামচেগিরি করতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেস খাবার ভয় পাবেন না। লড়াই জারি রাখুন। আহত হলে হাসপাতালে যাবেন। ’


আরও পড়ুন: চম্পার 'হৃদয়' পেলেন না অনিমা, প্রতিস্থাপনে ব্যর্থ শহর


শ্যামল রায়ের পর মঞ্চে ওঠেন  বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  তিনিও  রাজ্য সরকারের তুলোধনা করেন। দিলীপ ঘোষের তোপ, ‘বীরভূমের একজন নেতা আছেন, যিনি  কথায় কথায় বোম মারেন। একদিন পিছনে বোম ফাটবে।  এর মধ্যেই তাঁর দলীয় অফিসে বোম ফেটেছে। উনিশের লোকসভা ভোটে দিদির গুণ্ডা  আর  পুলিশ ১০০ মিটার দূরে থাকবে। সেদিন থাকবে দাদার পুলিশ। এতদিন আমরা দেখেছি। সেদিন আমরা খেলবো।’


আরও পড়ুন: ছাত্রীর ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ


বিজেপির অভিযোগ,  ছমাস ধরে রাজ্যে ভোটপ্রক্রিয়া চলছে।  এপ্রিল থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে আজ অবধি বোর্ড গঠন হওয়া শেষ হল না। বিরোধীদের জেতা এলাকাগুলোতে  নানা অছিলায় তারিখ পেছানো হচ্ছে।   দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ ব্রিজের মত ভেঙ্গে পড়বে পচা দল। চারদিকে ব্রিজ ভাঙ্গছে। সবদিকে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।’ 


আরও পড়ুন: ছুটির সকালে শহরে দাউ দাউ করে জ্বলল বাস!


ইসলামপুরকাণ্ড প্রসঙ্গে  দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পুলিশকে কাপুরুষ তৈরি করেছে।  মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। পুলিশ গুলি চালাচ্ছে, স্বীকার করছে না। ইসলামপুরে কী  তবে ভূতে গুলি চালিয়েছে?  পাবলিক যদি ক্ষেপে যায় পুলিশকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।’  তিনি আরও বলেন, ‘ কেস খাবার ভয় পাবেন না। আহত হলে হাসপাতাল আছে।’ দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন  বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী-সহ রাজ্য ও জেলার বিজেপি নেতৃত্ব।