ই গোপি: ভোটের তিন দিন আগে গ্রেফতার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। গতরাতে খড়গপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় খড়গপুর সদর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি তারকেশ্বর রাওকে। মাঝরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিস। এনিয়ে রাজনীতি চাপানউতোর শুরু হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-হিরণের আপ্তসহায়কের বাড়ি-সহ ৩ জায়গায় তল্লাশি পুলিসের, ছুটে এলেন বিজেপি প্রার্থী


তারকেশ্বরের দিদি শুভঙ্করি রাও বলেন,রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পুলিস তাদের খড়গপুর শহরের ছ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়াস্থিত বাড়িতে আসে পুলিস। তারা তারকেশ্বর বাড়িতে আছে কিনা জানতে চায়। পুলিসকে সকালে আসার কথা বললে তারা প্রথমে পাঁচিল টপকে, পরে দরজা ভেঙে বাড়ির উঠোনে ঢোকে। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং তারকেশ্বর রাওকে নিয়ে পুলিস বেরিয়ে যায়। কেন তারকেশ্বরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে সে বিষয়ে পুলিস পরিবারের সদস্যদের কিছুই জানায়নি।


শুভঙ্করী জানান, বাড়িতে দুজন মহিলা। আমি ও আমার বৃদ্ধা মা। উনি অসুস্থ। তাই পুলিসকে সকালে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু পুলিস কোনও কথা না শুনেই দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢোকে। এবং আমার ভাইকে নিয়ে চলে যায়। পুলিস এসেছিল না গুন্ডা এসেছিল কিছু বোঝা যায়নি। বাংলায় মমতা ব্যানার্জি বলছেন ভালো কাজ করছেন। তাহলে এটাই কি ভালো কাজের নমুনা। যেভাবে আমার ভাইকে ধরে নিয়েই আছে, মনে হল না পুলিস নিয়ে গেছে। ওদের গুন্ডা বলেই মনে হয়েছে। দিদির পুলিসের এই কাজ! আমার কি কোনও খুন করে বসে আছি? কোনও কাগজপত্র দেখায়নি। পুলিস এসে যা করলে তাতে আমাদের মা ইজ্জত মাটিতে মিশে গিয়েছে। এরকম করলে পুলিসকে বিশ্বাস করবে। খড়গপুর টাউন থানার পুলিস সূত্রে জানা গেছে, দরজা ভাঙার কোন ঘটনা ঘটেনি আমরা গ্রেফতার করতে গেছিলাম বাড়ির লোকেরা দরজা খুলে দিয়েছে।


অন্যদিকে, গতকাল রাতে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরনেরআপ্ত সহায়কের বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। ওই তল্লাশি নিয়ে হিরণ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, দেখুন পুলিসের গাড়ি দাঁডি়য়ে রয়েছে। ঘাটাল থানার ওসি গাড়িতে বসে আছেন। রাত তিনটে থেকে চলছে। ওঁরা নাকি এখানে পাকিস্তানের টেররিস্ট ধরছে এসেছেন। এমনটা মনে হচ্ছে। পুলিসেও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর পারছে না। নির্দোষ মানুষগুলোকে এভাবে আক্রমণ করতে এসেছে। আর ঘাটালের অভিনেতা সাংসদের পিএর বিরুদ্ধে গুজরাটে সোনাচুরির কেস আছে। পুলিস তাকে অ্যারেস্ট করতে যায়নি। আশাকর্মী হিসেবে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিল। তাকে অ্যারেস্ট করেনি। পিএ রামপদ মান্না সে টাকা নিয়েছিল। তার নামে এফআইআর পর্যন্ত নেয়নি পুলিস।



 (দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)