`এটা পাকিস্তান নয়, ভারতবর্ষ`, ফতোয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ নুসরতের পাশে বিজেপি মন্ত্রী দেবশ্রী
বিয়ের পর শাখা-সিঁদুর পরে সংসদে পা রাখেন নিখিল ঘরণী। এই নিয়ে মৌলবাদী সংগঠনের তোপের মুখে পড়েন নুসরত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "এটা পাকিস্তান নয়, এটা ভারতবর্ষ। এখানে কোনও ফতোয়া চলে না।" শপথগ্রহণের সময় দেওয়া নিজের পরিচয় নিয়ে ফতোয়ার মুখে পড়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহাঁ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খুললেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি বলেন, "নিজের ধর্ম নিয়ে নিজের পরিচয় দেওয়া সাংবিধানিক অধিকার। সেই বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য দেওয়ার অধিকার নেই। মানুষের সেই অধিকার নিয়ে কারও ফতোয়া দেওয়া চলে না।"
সম্প্রতি শাড়ি ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহাঁ। বিয়ের পর শাখা-সিঁদুর পরে সংসদে পা রাখেন নিখিল ঘরণী। অধিবেশন শুরুর প্রায় এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার শপথগ্রহণ করেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত। সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণের সময় নুসরত জাহাঁ রুবি জৈন বলে নিজের নাম-পরিচয় দেন অভিনেত্রী।
এরপরই এই নিয়ে মৌলবাদী সংগঠনের তোপের মুখে পড়েন নুসরত। ধর্ম ও সংস্কৃতিকে অবমাননা করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে মৌলবাদী সংগঠন। সেই ঘটনাতেই আজ রায়গঞ্জে সার্কিট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় শিশু ও নারীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর স্পষ্ট কথা, "প্রত্যেক মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে তাঁর ধর্মাচরণ করার। এ নিয়ে কারও কোনও মন্তব্য চলে না।"
আরও পড়ুন, মাথায় চওড়া সিঁদুর, হাতে চূড়া, নিখিলের হাত ধরেই কলকাতায় ফিরলেন নুসরত
আরও বলেন, "এটা পাকিস্তান নয়। এখানে ফতোয়া দিয়ে কোনও লাভ নেই। এটা ভারতবর্ষ। এখানে কারও সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা যায় না। নুসরতের শপথগ্রহণ নিয়ে ফতোয়ার বিষয়ে সংবিধানের রক্ষাকর্তারা রয়েছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন।"