`অনুমতি দিক বা না দিক, রথযাত্রা হবেই`, হুঙ্কার দিলীপের
`তৃণমূল চাইছে, টেনশন হোক। ওরা যদি চায় সমস্যা হোক, সমস্যা হবে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : "রথ বের হবেই।" স্পষ্ট ভাষায় সাফ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কোচবিহারে বিজেপির রথযাত্রায় অনুমোদন দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এদিন হাইকোর্টে সরকারের আপত্তির কথা জানান এজি। আর তারপরই হুঙ্কার বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
কোচবিহার যাওয়ার পথে ট্রেনে যেতে যেতে জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, "কোনও কর্মসূচি করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সেই অধিকার সব রাজনৈতিক দল পায়। সরকার বলতে পারে না যে অনুমতি দেবে না। তৃণমূল চাইছে যাতে আমরা বাধ্য হই। টেনশন হোক। ওরা যদি চায় সমস্যা হোক, সমস্যা হবে। অনুমতি দিক বা না দিক, রথযাত্রা হবেই। "
বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রথযাত্রার অনুমতি প্রসঙ্গে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী জানতে চান, রথযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা উভয়পক্ষ একসঙ্গে বসে সমাধান করতে পারে কি না? বেলা দুপুর ২টোর মধ্যে একথা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয় এজিকে।
আরও পড়ুন, হিন্দুত্বের লড়াইয়ে বিজেপির রথ রুখতে নাম সংকীর্তন বীরভূমের কেষ্টর
কিন্তু ২টোর সময় ফের আদালত বসলে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীকে এজি জানান, রাজ্য সরকার ও বিজেপি একসঙ্গে বসে রথযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় ইস্যু সমাধান করার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানানো সম্ভব। বৃহস্পতিবার-ই রথযাত্রা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজির বক্তব্য শোনার পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারের সিদ্ধান্ত আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এদিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে শুনানি উঠলে রথযাত্রায় রাজ্য সরকারের আপত্তির কথা জানান এজি। আদালতে এদিন এজি বলেন, কোচবিহারের রথযাত্রায় অনুমোদন নয়। বিজেপির রথযাত্রায় কোচবিহার পুলিস সুপারের আপত্তি রয়েছে। তাই কোচবিহারে রথযাত্রায় অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার।