নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের টার্গেট ২০০। বাংলা দখলের লক্ষ্যে চিন্তন বৈঠকে বিধানসভা ধরে ধরে কৌশল স্থির করল বিজেপি। দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, কমপক্ষে ২০০টি আসন তো পাবই। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকেও পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, পিকে-র কৌশল খাটবে না বাংলায়।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় প্রথমে ২২, পরে ২৩ আসনপ্রাপ্তির লক্ষ্য নিয়েছিল ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলেও বাংলায় বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে তারা। তবে ৫ বছরে তাঁদের আসন ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮। লড়াই সফল। এবার পাখির চোখ ২০২১। লোকসভা ভোটের পরই বিজেপির বাংলা জয় সময়ের অপেক্ষা বলে ঘোষণা করেছিলেন অমিত শাহ। বাংলা দখলের নীল নকশা চূড়ান্ত করতেই দুর্গাপুরে ২দিন ধরে চলল বিজেপি চিন্তন বৈঠক। 



শনিবার শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-কাটমানির অভিযোগ থেকে কীভাবে ফায়দা তোলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির সিদ্ধান্তের সুবিধা কী হতে চলেছে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রবিবারের এজেন্ডা ছিল, সদস্য সংগ্রহ অভিযান। দিলীপ ঘোষ দাবি করলেন, বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে মিলেছে ব্যাপক সাড়া। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫২ লক্ষের বেশি সদস্য নথিভূক্ত হয়েছে। সংখ্যাটা এক কোটি ছাড়াতে হবে। 


দ্বিতীয় দিনের চিন্তনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা ছিল বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক আলোচনা। অর্থাত্‍ রাজ্যের কোন বিধানসভা এলাকায় দলের সংগঠন কতটা পোক্ত? বিধানসভা ধরে ধরে আলোচনা। আর বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, লোকসভার ফলের ভিত্তিতে অন্তত ২০০টি আসন জেতা অসম্ভব নয়। সেটাই সাংবাদিকদের সামনে খোলসা করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, 'কমপক্ষে ২০০টি আসন জিতব।নিশ্চিতভাবে সরকার হবে।' 


হারানো মাটি পুনরুদ্ধারে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেছে তৃণমূল। জনসংযোগে নেমে পড়েছেন নেতামন্ত্রীরা। হৈহৈ করে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দিদিকে বলো কর্মসূচি। তবে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন,'বিজেপির সামনে পিকে কোনও ফ্যাক্টরই নয়। সাধারণ মানুষই জেতাবেন। প্রশান্ত অনেক জায়গায় বিফল হয়েছে। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ যুক্ত হতে চলেছে।'


বাংলা দখলে বদ্ধপরিকর মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ। নিজেও জানিয়েছিলেন, বাংলা, কেরল ও ওডিশা দখল না করলে বিজেপির স্বর্ণযুগ আসবে না। আর লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন পাওয়ার পর আরও উজ্জীবিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি নেতারা মনে করছেন, ২০২১ সালে বাংলা দখলের মোক্ষম সুযোগ রয়েছে। বিজেপি যখন আশায় বুক বাঁধছে, তখন পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। লোকসভা ভোটের পরই ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গ রক্ষার লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'পক্ষের টক্করে ২০২১-এর আঁচ এখন থেকেই টের পাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক অলিন্দ।


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: সেনার মধ্যে দেবদর্শন, বন্যায় উদ্ধারের পর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম মহিলার