Sukanta Majumdar: `তুমি কত বড় বাপের বেটা....সাইজ করতে জানা আছে`, বিস্ফোরক সুকান্তর তীব্র আক্রমণ!
`আমার কোনও কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে, সেই হাতের ব্যবস্থা করার মত ক্ষমতা ভারতীয় জনতা পার্টির আছে... কত বড় মস্তান আপনি? এত বড় দম আছে তো? বিজেপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে। যদি ইট মারেন পাথর কিন্তু খেতে হবে।`
প্রসেনজিত্ মালাকার: বিজেপি সাংসদের পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের আইসি-কে হুঁশিয়ারির পর এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিশানায় সেই আইসি সহ জেলার পুলিসকর্তারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের সভা করতে এসে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব সহ লাভপুর থানার আইসি ও বীরভূমের এসপিকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে অনুব্রতহীন জেলাকে পাখির চোখ করে নজর দিয়েছে বিজেপি। প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোটের লড়াই, অনুব্রত মণ্ডলের জেলাকে বিশেষ ভাবে বেছে নিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন বীরভূমের লাভপুরে ৫১ সতীপিঠের ফুল্লারাতলা মন্দিরে পুজো দেন সুকান্ত মজুমদার। পুজো দিয়ে মন্দির থেকে লাভপুরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করেন। মিছিল শেষে লাভপুর পুরনো বাসস্ট্যান্ডে পথসভা করেন সুকান্ত মজুমদার। সেই পথসভা থেকেই লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, লাভপুর থানার আইসি, বীরভূম জেলার এসপি, বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ এবং বীরভূম জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবদুল কেরিম খানকে হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন সভার শেষে লাভপুরের সিপিআইএম, ডিওয়াইএফআই-এর ২৭ জন কর্মী সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন।
সভামঞ্চ থেকে এদিন সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দেন, 'লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা তাঁর মেয়েকে নেপালে পড়াচ্ছেন। এত টাকা পাচ্ছেন কোথা থেকে?' বীরভূম জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্য আবদুল কেরিম খানকে হুঁশিয়ারি দেন, 'রামনবমীতে কীর্ণাহারে কিছুজন মানুষ এসেছিল। তাঁদেরকে পার্টি অফিসে ডেকে হুমকি দেন। কাজল শেখ তুমি কত বড় বাপের বেটা হয়েছ? তোমাদের মত নেতাদেরকে কীভাবে সাইজ করতে হয়, আমার জানা আছে। কান ধরে বেঞ্চের উপরে দাঁড় করিয়ে রাখব। যত কেরিম আছ আর কাজল আছ, পরিষ্কার কথা বলে দিচ্ছি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে থাকবে তোমাকে বিরোধীরা সম্মান দেব। কিন্তু আমার কোনও কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে, সেই হাতের ব্যবস্থা করার মত ক্ষমতা ভারতীয় জনতা পার্টির আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি কোনও কর্মীর গায়ে হাত পড়ে সে কাজল শেখ হন বা কেরিম খান হন, তার ব্যবস্থা বিজেপি করবে।'
আরও বলেন, 'বোলপুর লোকসভার মধ্যে মঙ্গলকোট বিধানসভার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। তিনি আবার বড় বীর! অনুব্রত মণ্ডলকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিল বীরের মতো সম্মান দিতে হবে। এ আরেক বীর পঞ্চায়েতে ঘোষণা করে বলেছে, বিজেপিকে নাকি লড়াই করতে দেবে না! বিজেপিকে নাকি নমিনেশন ফাইল করতে দেবে না! কত বড় মস্তান আপনি? এত বড় দম আছে তো? বিজেপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে। যদি ইট মারেন পাথর কিন্তু খেতে হবে।'
আরও পড়ুন, প্রবল দাবদাহে বদলাচ্ছে স্কুলের সময়!