নিজস্ব প্রতিবেদন:  ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও জিতেন তিওয়ারি- নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের চার নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করল বিজেপি।  রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে তাদের দাবি, তৃণমূলের এই চার নেতাকে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে। তাঁদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



কখনও নকুল দানা, কখনও পাচনের দাওয়াই-বরাবরই নির্বাচনের আগে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থাকেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার তাঁর পথ অনুসরণ করে বিরোধীদের করলার জুস খাওয়ানোর পাঠ দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। সম্প্রতি কোচবিহারের তুফানগঞ্জের একটি সভা থেকে কর্মীদের এই বার্তা দেন তিনি। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রচারে এসে প্রকাশ্য সভায় তিনি বলেন, ''কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনের পর থাকবে না, আমরা থাকব সারা বছর। ভোটটা জোড়া ফুলেই দেবেন।''  ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। 


৫ হাজারের বেশি লিড দিলে ১ কোটি, কাউন্সিলরদের টোপ আসানসোলের মেয়রের
তবে এবারের নির্বাচনে এই তালিকায় নতুন সংযোজন ফিরহাদ হাকিমের নামও। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁকে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। 
একটি সভায় ফিরহাদ দাবি করেন, রুটমার্চের নামে কাঁধে বন্দুক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রায় একই সুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ও। এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের গতকালের সংযোজন ছিল, ''কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন মোদীর চামচাগিরি না করে।'' যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর 'বাড়াবাড়ি' নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ করবেন বলেও ফিরহাদ জানান। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ আনতেই ভিডিও ফুটেজ চেয়ে পাঠায় কমিশন। 


কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন মোদীর দালালি, চামচাগিরি না করে, হুঙ্কার অনুব্রতর
অন্যদিকে, আসানসোলের মেয়র জিতেন তিওয়ারি দলীয় কর্মীদের টোপ দেন। তিনি বলেন, ''৫ হাজারের বেশি লিড দিতে পারলেই, এক কোটি টাকার সরকারি কাজের বরাত পাওয়া যাবে।''
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এধরনের মন্তব্য নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। বুধবার সেই নালিশ জানাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেখানে ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও জিতেন তিওয়ারির নামে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি তাঁদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে যাতে বাদ রাখা হয়, তারও আর্জি জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। 
বিজেপির আরও অভিযোগ, তৃণমূলের এই চার নেতা ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন।  ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। 
পাশাপাশি এদিন বিজেপির তরফে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজনে মানুষের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের আশ্বস্ত করতে পারে,  তারও ব্যবস্থা করতে হবে। বিজেপির তরফে  এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন জয়প্রকাশ মজুমদার ,রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।