নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি, যেনে নিক দুবৃত্ত! রাজ্যে অমিত শাহের পদধূলি পড়ার আগে থেকেই গেরুয়া শিবিরকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে ‘মা-মাটি-মানুষের দল’।  ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতিকে কার্যত কথায় কথায় ‘বাক্-বিদ্ধ’ করেছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। বাংলায় বিজেপির ২২ আসন জেতার স্বপ্নকে ‘সোনার পাথর বাটি’ বলেও কৌতুক করেছেন অনেকে। পুরুলিয়ায় বিজেপির সভামঞ্চ থেকে এদিন এই সব ‘নিন্দার’ জবাব দিলেন শাহ। সঙ্গে বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির টার্গেটও। ২২ নয়, ২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতবে ২৩ আসনে, হুঙ্কার অমিতের। নবতম সংযোজন ‘শহিদ বিজেপি কর্মী’ ত্রিলোচন মাহাতোর পুরুলিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- লক্ষ্যপূরণের 'সংকল্প', তারাপীঠে 'শৃঙ্গার পুজো' অমিত শাহের


বৃহস্পতিবার, রাজ্য বিজেপির সভায় অমিত শাহ বলেন, “২০১৯ সালে ২২-এর থেকে বেশি আসনে জিতে এক নম্বর পার্টি হবে বিজেপি। আমি পুরুলিয়াকে বাদ রেখেছিলাম। অধ্যক্ষকে বলেছিলাম পুরুলিয়া গিয়ে মানুষের কথা শুনেই ঠিক করব”। এরপরই সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। “পুরুলিয়ায় কে জিতবে?”, প্রশ্নের উত্তরে কাঙ্খিত উত্তর পেয়েই প্রত্যয়ী অমিত শাহ পুরুলিয়া-কেও বিজেপির লোকসভা লক্ষ্যের অন্তর্গত করে নেন।


আরও পড়ুন- 'রবি ঠাকুরের সুর বদলেছে বোমার আওয়াজে', তোপ অমিতের


এদিন ত্রিপুরা জয়ের কথা উল্লেক করে অমিত শাহ বলেন, “ত্রিপুরায় কমিউনিস্টদের সরিয়ে বিজেপি এসেছে। ওখানে বিকাশের পথে হাঁটতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার”। এরপরই রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধে তিনি বলেন, “চিটফান্ডের সরকার, সিন্ডিকেটের সরকার আর চাই না। চলো পাল্টাই”।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অমিত শাহের উপদেশ-


একই সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করতে পিছুপা হননি শাহ। নেত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বিজেপি সভাপতি এও বলেন, “মহাজোট তৈরি করছেন। খুব ভাল কথা। আগে নিজের ঘর সামলান। আপনাদের পায়ের তলা থেকে জমি সরছে”।