নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয় পেয়েছেন মমতা। তাই বিজেপির রথ আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন তিনি। তবে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আত্মসমর্পণ করবে না। দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাবে তারা। শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে এভাবেই বিষোদ্গার করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামিকাল কলকাতায় আসছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে। গণতন্ত্রের প্রশাসন ও সরকারকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রের হত্যা করছেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন পেশ করতে দেয়নি তৃণমূল। যার ফলে আদালতে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন পত্র পেশ করার নির্দেশ দেয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিতেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে বামেদেরও ছাড়িয়ে গিয়েছে তারা। মোট ৬৫ জন বিরোধী সমর্থক খুন হয়েছেন গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায়। 


পাশাপাশি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজনৈতিক হিংসায় পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। প্রথম নারীপাচারে। শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদানের নামে তোলাবাজি করছেন তৃণমূল নেতারা। 


বিজেপির রথ মামলার আপিল গ্রহণ করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ


এর পরই শাহ জানান, আদালতের অনুমতি নিয়ে রথযাত্রা পশ্চিমবঙ্গে হবেই। বার বার আবেদন করা সত্বেও পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি। রথযাত্রা হলে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের জোয়ার উঠবে। সেই ভয়ে রথের অনুমতি দিচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে বিজেপি দমার পাত্র নয়। রথযাত্রা হবেই। দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিবর্তনের জন্য তৈরি হয়ে রয়েছেন। রথ আটকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতাকে সামলাতে পারবেন না। ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি। 


অমিত শাহের পালটা প্রশ্ন, বিজেপি রথযাত্রার পর কোথায়, কবে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে? বরং পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ করিয়েছে তৃণমূল। সরকার তো বটেই প্রশাসনও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের তোষণে ব্যস্ত। যা এক কথায় ভয়াবহ। 


তবে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, হেরোরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে। আমরা তো পশ্চিমবঙ্গে জিতব। আমরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে যাব কেন? সাংবাদিক বৈঠকের শেষে অমিত শাহ জানিয়েছেন, শনিবার কলকাতায় আসছেন তিনি। ওদিকে অমিত শাহের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হতেই কোচবিহারে ফের বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতারা। 


অমিত ছাড়াই কোচবিহারে 'মুখরক্ষা'র সভা বিজেপির


বলে রাখি, শুক্রবার কোচবিহার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিজেপির রথযাত্রা। উদ্বোধন করার কথা ছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। রাজ্য প্রশাসন রথযাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেই আদালতের শুনানিতে আদালত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ জারি করে। এর পরই তোলপাড় পড়ে বিজেপির অন্দরে।